• ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ কিমি রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু
    বর্তমান | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: গরম নদীর সেতু থেকে বনচুকামারী বাজার, তপসিখাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালজানি নদীর ঘাট হয়ে পররপার গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়বাংলা হাট পর্যন্ত রাস্তাটির দূরত্ব বর্তমানে ১২ কিমি। যানজটের চাপ থাকায় অপরিসর এই রাস্তাটিকে চওড়া করে জেলা শহরের বাইপাস হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। তারজন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি থেকে এই রাস্তার কাজের জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

    মঙ্গলবার, বাংলা নতুন বছরে রাস্তাটি সম্প্রসারণের কাজ শুরু হল। এদিন রাস্তার কাজের সূচনা করেন এলাকার বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী ও এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য রতন মহন্ত। রাস্তাটি দু’পাশ মিলিয়ে মোট সাড়ে পাঁচ ফুট চওড়া করা হবে। বিধায়ক বলেন, বনচুকামারী, তপসিখাতা ও পররপার তিনটি পঞ্চায়েতের উপর দিয়ে যাওয়া এই রাস্তাটির চওড়া করার কাজ শেষ হলে জেলায় যোগাযোগের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। রাস্তাটি যেমন জেলা শহরের বাইপাস হিসেবে কাজ করবে, তেমনি কালচিনির বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে সরাসরি কোচবিহার যেতে পারবেন। 

    তপসিখাতা পঞ্চায়েতের কালজানি ঘাট থেকে শুরু পররপার পঞ্চায়েত। প্রস্তাবিত ১২ কিমি রাস্তার মধ্যে নদী থেকে পররপার পঞ্চায়েতের জয় বাংলা হাট পর্যন্ত এক কিমি রাস্তা রয়েছে। ওই এক কিমি রাস্তাও চওড়া হবে। তপসিখাতা ও পররপাড় দুই পঞ্চায়েতের মাঝে কালজানি ঘাটে পাকা সেতু নেই। ফলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তুলেছেন, কালজানি ঘাটে সেতু না বানিয়ে এই রাস্তা চওড়া করার অর্থ কী? এনিয়ে বিধায়ক বলেন, কালজানি ঘাটে সেতুর বিষয়টিও আমাদের মাথায় আছে। তাই প্রথম ধাপে রাস্তাটি চওড়া করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে কালজানি ঘাটে পাকা সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। ওই সেতুর বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে কথা চলছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)