এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ধসে বিধ্বস্ত কার্শিয়াং, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা-বাড়ি
বর্তমান | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বৈশাখ মাসের শুরুতেই ধসে বিধ্বস্ত কার্শিয়াং শহর। মঙ্গলবার মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। কোথাও কালভার্টের গার্ডওয়াল ধসে গিয়েছে। কোথাও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতটি। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্ষার মরশুম শুরুর আগে এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। প্রশাসক পরিচালিত কার্শিয়াং পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ প্রধান বলেন, বৃষ্টিতে তিনটি জায়গায় ধস নেমেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে মহকুমা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। ধস কবলিত এলাকাগুলি থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্যত্র সরানো ও তাঁদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয় কার্শিয়াং শহরে। চলে আড়াইটে পর্যন্ত। এতেই দার্জিলিংগামী ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী রাস্তায় ধস নেমেছে। সেখানে একটি প্রাথমিক স্কুল ও বেশকিছু বাড়ি রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তায় প্রায় ৫০ মিটার লম্বা একটি কালভার্ট ছিল। বৃষ্টির জেরে সেই কালভার্টের গার্ডওয়াল ধসে গিয়েছে। যার জেরে কালভার্টের নীচে মাটি নেই। সেটি কার্যত শূন্যে ঝুলছে। সেই রাস্তা দিয়ে আপাতত যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরফলে ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কিছুটা ঘুরপথে চলাচল করতে হচ্ছে। সেখানে চারটি বাড়িতেও ধরেছে ফাটল।
এরবাইরে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শেরপা বস্তিতে তিনটি বাড়ি এবং চান্দমারিতে একটি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ফাদারবাড়ি রোডের কালভার্ট, চান্দমারির রাস্তা দ্রুত মেরামত করা হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে। তাঁদের ত্রাণের ব্যবস্থাও করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির উপর নজর রাখা হয়েছে।
বর্ষার মরশুম শুরু হতে আরও দেড়মাস বাকি। এই অবস্থায় বৃষ্টিতে ধস নামায় বাসিন্দারা রীতিমতো আতঙ্কিত। তাঁদের একাংশের আশঙ্কা, ভারী বর্ষায় ধসের ঘটনা আরও বাড়তে পারে। তাই পাহাড়ের দুর্বল ও ধস প্রবণ এলাকাগুলিতে এখনই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা উচিত বলে তাঁদের দাবি। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বাসিন্দাদের দাবি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।