মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন, চা শ্রমিকদের পিএফ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। একথা আমিও স্বীকার করছি। এনিয়ে আমিই প্রথম সরব হই। জলপাইগুড়িতে পিএফ অফিসে গিয়ে সাফ জানিয়ে আসি, ‘ঘুঘুরবাসা’ তৈরি হয়ে থাকলে তা ভাঙতে হবে। একইসঙ্গে ওই বিজেপি সাংসদের তোপ, ডুয়ার্সে চা শ্রমিকদের পিএফ ‘হাপিস’ করতে যে ‘দালাল’ চক্র তৈরি হয়েছে, তারা তৃণমূলের ছত্রছায়ায় রয়েছে। ওই ‘দালাল’দের বাঁচাতে লোকদেখানো আন্দোলন করছে রাজ্যের শাসকদল।
‘দালাল’ ইস্যুতে মনোজকে অবশ্য পাল্টা বিঁধতে ছাড়েনি তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন। সংগঠনের চেয়ারম্যান নকুল সোনারের তোপ, পিএফ অফিস তো কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালনাধীন। সেখানে দালালরাজ চলে কীভাবে? বিজেপিই বা পিএফ অফিসে দালালরাজ খতম করতে কী করেছে? তাঁর দাবি, আসলে পিএফ অফিসে এতদিন ধরে যে ঘুঘুরবাসা চলছিল, তা আমরা ধরে ফেলেছি। মৌচাকে ঢিল পড়েছে বুঝতে পেরে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি এমপি দিশেহারা হয়ে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করছেন।
মনোজের অবশ্য হুঁশিয়ারি, পিএফ অফিসের একাংশের কর্মীর সঙ্গে যোগসাজশ করে যেসব দালাল চা শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ‘গায়েব’ করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তারা কেউ পার পাবে না। সমস্ত দালালের নামের তালিকা তৈরি করছি আমি। ওই তালিকা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেব। প্রয়োজনে আদালতে মামলা করা হবে।
গত কয়েক বছরে চা বাগানে দলের রাশ যে কিছুটা হলেও আলগা হয়েছে, এদিন তা স্বীকার করে নিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। তবে খামতি পূরণে আগামী মাস থেকেই চা বাগানের সংগঠনে জোর দেওয়া হবে বলে এদিন জানিয়েছেন তিনি। মনোজ বলেন, শীঘ্রই আমাদের ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে।