বীরভূমজুড়ে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন, দুবরাজপুরে শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠানে তৃণমূল
বর্তমান | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, রামপুরহাট: মঙ্গলবার বীরভূম জেলাজুড়ে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করল তৃণমূল। এদিন বিকেলে সিউড়ি শহরে শোভাযাত্রা হয়। সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা এই শোভাযাত্রায় পা মেলান। দুবরাজপুর ব্লকের লোবা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। কচিকাঁচাদের নিয়ে নাচে গানে মেতে উঠেছিলেন শাসকদলের নেতারা। খুদেদের মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্ত করার প্রয়াস নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মিষ্টিমুখ পর্বও চলে। দলের অঞ্চল সভাপতি পিনাকী চক্রবর্তী বলেন, বিশেষ এই দিনটি সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় খুদেদের নিয়ে পালন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করে মিষ্টিমুখ করানো হয়েছে সকলকে। আমাদের মূল লক্ষ্য সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করা। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। সেই লক্ষ্যেই এদিন খুদেদের নিয়ে একাধিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত মোবাইলের প্রতি তাদের ঝোঁক কমিয়ে পড়াশোনা ও মাঠমুখী করে তোলার চেষ্টা করা হল। সেইসঙ্গে বিশেষ দিনে দুঃস্থদের মধ্যে পোশাকও বিতরণ করা হয়েছে।
লোবা অঞ্চলে তরুলিয়া মোড়ে পার্টি অফিস চত্বরে এদিন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অঞ্চল সভাপতি পিনাকীবাবু ছাড়াও সহ-সভাপতি ফেলারাম মণ্ডল সহ বিশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন প্রায় ১৫০জন খুদেকে নিয়ে বসে আঁকার প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে নাচ, গান ও আবৃত্তির আসর বসে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের হাতে এদিন পুরস্কার তুল দেওয়া হয়েছে। বর্ষবরণকে সামনে রেখে আমজনতার মনোরঞ্জনে স্থানীয় বাউল শিল্পীদের নিয়ে গানের আসর বসানো হয়। সেইসঙ্গে সন্ধ্যায় অঞ্চল নেতৃত্বের নির্দেশে প্রতিটি বুথে মিষ্টি বিতরণ পর্ব চলে। উদ্যোক্তা শাসকদলের নেতারা জানান, আগামী দিনে অঞ্চলের প্রতিটি বুথেই শিশুদের নিয়ে নানা ধরনের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পড়ুয়ারা যাতে মোবাইলে আসক্ত না হয় সেই লক্ষ্যে এই উদ্যোগ।
এদিন সন্ধ্যায় রামপুরহাটে তৃণমূলের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহরের কামারপট্টি মোড়ে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সংখ্যালঘু সেলের শহর সভাপতি আহসান হাবিব প্রমুখ। এদিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস ও নববর্ষের উৎসব সম্মিলিতভাবে পালন করা হয়। রাজ্যসঙ্গীত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। • নিজস্ব চিত্র