ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৫টি নদীর সমীক্ষা
বর্তমান | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের মোট পাঁচটি নদীতে সমীক্ষা চালালেন বেশ কয়েকজন অধ্যাপক, গবেষক ও পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্য। ‘এসো নদীর পথে হাঁটি’ শীর্ষক এই সমীক্ষায় সুন্দরবন থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ, মোট পাঁচটি নদীতে সমীক্ষা চলে। উঠে এসেছে নদীর নানা সমস্যা। গবেষণার ফলাফল জমা দেওয়া হবে কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারকে। সমীক্ষার শুরু ও শেষে কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে সেমিনার ও উপস্থাপনা। সমীক্ষার ফলাফল বা রিপোর্ট ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়েও পাঠানো হবে। এই টিমে ছিল তিনটি নদী ও পরিবেশপ্রেমী সংগঠন।
এই সমীক্ষার কোর টিম মেম্বার তথা বিশিষ্ট পরিবেশপ্রেমী তুহিনশুভ্র মণ্ডল বলেন, ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি নদীতে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। নদী পার্শ্ববর্তী মানুষদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা, জীবন জীবিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর থেকে যা উঠে এসেছে সেটা ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে জমা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারের নদী বন্ধন প্রকল্পে প্রস্তাবনা জমা দেব। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের মানুষের জীবন জীবিকা সঙ্কটে রয়েছে। জলঙ্গির পাশে কীটনাশক ব্যবহারে ক্ষতি হচ্ছে। জল কমেছে। ধুলিয়ানে গঙ্গার চরে ভাঙন, পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আত্রেয়ীতে কৃষক ও মৎস্যজীবীরা সমস্যায় রয়েছেন। তিস্তার বোয়ালমারিতে ভাঙন, পানীয় জলের সমস্যা, কৃষিতে পরিবর্তন হচ্ছে। বহু মাছ হারিয়ে গিয়েছে। নদী নির্ভর বহু মানুষ বাইরে চলে গিয়েছেন।
গত ৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ‘এসো নদীর পথে হাঁটি’ প্রকল্পের সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন নদী বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপিকা গোপা সামন্ত, এই প্রকল্পের মুখ্য গবেষক তথা ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহেবুব সাহানা সহ অন্যান্যরা। এখান থেকেই ২০ সদস্যের একটি টিম পৌঁছে যায় সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের চর ঘেরির চরে। সেখানকার বাসিন্দারা কীভাবে বসবাস করছেন, মাছ ধরা এবং চাষাবাদ তা নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালান। সেখান থেকে তাঁরা নদীয়ার কৃষ্ণনগরে জলঙ্গি নদীর পাড়ে শম্ভুনগর চরে নদী পর্যবেক্ষণ করেন। তিস্তার বোয়ালমারির চরে ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল। - নিজস্ব চিত্র।