• নববর্ষে নবদ্বীপ ও মায়াপুরে পুণ্যার্থী ঢল
    বর্তমান | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ল নবদ্বীপ ও মায়াপুরে। মঠ-মন্দিরের পাশাপাশি বৈষ্ণবতীর্থ নবদ্বীপের গঙ্গার ঘাটগুলিতে পুণ্যস্নানের উদ্দেশ্যে ভিড় জমায় বহু মানুষ। এদিন ভোর থেকেই অসংখ্য পুণ্যার্থী ভিড় করেন পুণ্যভূমিতে। অটো, টোটো, চারচাকা গাড়িতে অনেকেই পরিবার নিয়ে এসেছিলেন। নবদ্বীপ সংলগ্ন পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে বাইকেও এসেছিলেন বহু পর্যটক। বছরের প্রথম দিনে গঙ্গায় পুণ্যস্নানই সকলের উদ্দেশ্য।

    নবদ্বীপের রানির ঘাট, বড়ালঘাট, শ্রীবাসঅঙ্গন, পোড়াঘাট, ফাঁসিতলা ঘাট, প্রাচীন মায়াপুর জন্মস্থান ঘাটগুলিতে বেশিরভাগ মানুষ পুণ্যস্নান করে। এদিন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সকাল থেকেই লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি নিয়ে পোড়ামা মন্দির ও গৌরাঙ্গ মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য ভিড় করেছিলেন। দীর্ঘ সময় লাইন দাঁড়িয়ে তাঁরা ব্যবসার খাতা পুজো করিয়ে নেন। বাইরে থেকে আসা ভক্ত ও পর্যটকরা নবদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী পোড়ামা মন্দির, গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দির, জন্মস্থান মন্দির সহ বিভিন্ন মঠ-মন্দির দর্শন করেন। অনেকে আবার পরিবার নিয়ে নবদ্বীপের মঠ-মন্দির দর্শন সেরে নৌকা ও লঞ্চে ভাগীরথী পেরিয়ে মায়াপুরে যান। সেখানে ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দির সহ বিভিন্ন মন্দির দর্শন করেন। অনেকেই এদিন ঐতিহাসিক বল্লাল সেনের ঢিপি দেখতে যান। পূর্ব বর্ধমানের বিদ্যানগর থেকে এসেছিলেন সমীর ভৌমিক। নবদ্বীপের রানির ঘাটে স্ত্রী অর্পিতা ও দুই মেয়ে সায়নী, সুনয়নীকে নিয়ে গঙ্গাস্নান করেন। তিনি বলেন, প্রতিবছরই বছরের এই শুভদিনে পরিবার নিয়ে পুণ্যস্নানে আসি। এখানকার স্নানের ঘাটের পরিবেশ খুব ভালো। কৃষ্ণনগর হাইস্ট্রিটের আরএন টেগোর রোডের বাসিন্দা গৃহবধূ সীমা দে বলেন, এই শুভদিনে গাড়ি ভাড়া করে মা, শাশুড়ি, স্বামী ও ভাইকে নিয়ে পুণ্যস্নান করতে এসেছি। স্নান সেরে মা পোড়ামা, গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু সহ বিভিন্ন মন্দির দর্শন করে বাড়ি ফিরব। নবদ্বীপের পোড়াঘাট বড়বাজার রোডের বাসিন্দা গৃহবধূ সান্ত্বনা অধিকারী বলেন, আমাদের কাঁসা-পিতলের ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসা শুরুর প্রথম দিন থেকে লক্ষ্মী-গণেশকে সঙ্গে করে এনে মা পোড়ামার কাছে পুজো করিয়ে নিয়ে যাই।
  • Link to this news (বর্তমান)