• সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘চাকরিহারা’ গুজব
    বর্তমান | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: মাধ্যমিক স্তরের এক শিক্ষকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল কুলতলির মেরিগঞ্জের তেঁতুলবেড়িয়ায়। মঙ্গলবার সকালে ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নাম প্রণব প্রতীপ নাইয়া (৪০)। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়। দিদিরা বাবা, মাকে দেখিস। কুলতলি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

    শিক্ষকের মৃত্যু নিয়ে একশ্রেণির মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়াতে শুরু করেন, ওই শিক্ষক ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত। চাকরি হারা হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যদিও বাস্তবে তেমন কিছুই হয়নি। কারণ তিনি ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত নন। অপপ্রচারের প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। শিক্ষক সংগঠনের এসটিইএ জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, প্রণববাবু জয়নগরের টি এস সনাতন হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক। ২০১৩ সালের এসএসসি থেকে নিযুক্ত একজন সহকারী শিক্ষক। ওঁকে ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত বলে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা নিন্দনীয়। এইভাবে আতঙ্ক ছড়ানো উচিত নয়। বারুইপুর পুলিস জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে জয়নগরের স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি। ওঁর মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার করা হচ্ছে। যাঁরা গুজব ছড়াচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিস কড়া ব্যবস্থা নেবে। পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন শিক্ষক।       

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষকের পরিবারে বৃদ্ধ বাবা ও মা ছাড়াও কলেজ পড়ুয়া বোন আছেন। পরিবারের লোকজন বলেন, প্রণব কয়েক মাস ধরেই চুপচাপ থাকত। মোবাইল ফোনেই মগ্ন থাকত। বাবা সুভাষচন্দ্র নাইয়া বলেন, ছেলে মনমরা থাকার কারণ কিছু বলত না। কেন এইভাবে আত্মহত্যা করল জানি না। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত স্কুলে এসেছেন প্রণববাবু। ২০২১ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে বদলি হয়ে জয়নগরের স্কুলে যোগদান করেন। প্রণববাবু সহকর্মীদের সঙ্গে তেমন মেলামেশা করতেন না। পুলিস ওই শিক্ষকের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে আত্মহত্যার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে।   
  • Link to this news (বর্তমান)