• সল্টলেকে রাস্তা-ফুটপাথে রমরমিয়ে বেআইনি পার্কিং, এক মাসে সাড়ে ৩ হাজার মামলা, সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকার জরিমানা আদায়
    বর্তমান | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: সরকারি রাস্তার উপরেই রাখা আছে ব্যক্তিগত গাড়ি। কোনও হেলদোল নেই! কেউ কেউ আবার ফুটপাতের উপর গাড়ি পার্কিং করছেন নিজের মেজাজে। সল্টলেকের বেশিরভাগ এলাকায় সরকারি রাস্তাই যেন ‘নিজস্ব গ্যারাজ’! এই বেআইনি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান শুরু করেছে বিধাননগর ট্রাফিক পুলিস। প্রথমে সচেতন করা হচ্ছে মালিক ও চালকদের। তারপরেও গাড়ি না সরালে দেওয়া হচ্ছে মামলা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক মাসে সল্টলেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সবগুলিই বেআইনি পার্কিংয়ের অভিযোগে, যার জরিমানা ৫০০ টাকা। অর্থাৎ, প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সল্টলেকে যাঁরা রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাখেন, তাঁদের বেশিরভাগই এই শহরের বাসিন্দা। অনেকে বাড়িতে গ্যারাজ নেই। তাই তাঁরা গাড়ি কিনে রাস্তাতেই পার্কিং করেন। অনেকের আবাসন বা বাড়িতে গ্যারাজ থাকলেও গাড়ির সংখ্যা দু’য়ের বেশি। ফলে গ্যারাজে জায়গা না পেয়ে রাস্তাতেই গাড়ি রাখছেন। কেউ কেউ আবার গ্যারাজের জায়গায় বাগান করেছেন। গাড়ি রাখছেন রাস্তায়! পুলিস আরও জেনেছে, কেষ্টপুর এলাকার বহু গাড়ি রাতে সল্টলেকে রেখে বাড়ি চলে যান অনেকে। এরকম বহু গাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে।

    এর আগে বহুবার সল্টলেকের রাস্তায় বেআইনি পার্কিং নিয়ে অভিযান করেছে পুলিস। মাইকিং করে এলাকার মানুষকে সচেতনও করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। কিন্তু মাইকের আওয়াজ মেলাতে না মেলাতেই শুরু হয়ে যায় বেআইনি পার্কিং। গত মার্চ মাসে বিধাননগর কমিশনারেটের পদস্থ আধিকারিকরা সল্টলেকের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান। রাস্তার ধারে বেআইনি পার্কিংয়ের ছড়াছড়ি তাঁদের নজরে আসে। পার্কিং করা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সূত্র ধরে মালিকের মোবাইলে ফোন করা হয়। অনেকে পুলিসের সক্রিয়তা দেখে গাড়ি সরিয়ে নেন। কিন্তু, অনেকেই তা পারেননি। কারণ, অন্যত্র সরালেও সেই রাস্তার উপরেই তাঁদের গাড়ি রাখতে হবে। ফলে প্রশাসনের কড়াকড়িতে সাময়িক কিছুটা প্রভাব পড়লেও অল্প সময়ের মধ্যে আগের অবস্থা ফিরে আসে। এমনকী, যেখানে ‘নো-পার্কিং’ বোর্ড লাগানো হয়েছে, সেখানেই পার্কিংয়ের লম্বা লাইন চোখে পড়ে। এক পুলিস আধিকারিক অবশ্য বলেন, ‘অভিযান জারি রয়েছে। মামলার সংখ্যা আরও বাড়বে।’
  • Link to this news (বর্তমান)