• প্যানিক বাটন কাজই করে না! রিনিউয়ে নারাজ বাস সংগঠন
    এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়: ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি) নিয়ে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য। তাতে বলা হয়েছে, সব গাড়িরই ভিএলটিডি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুনর্নবীকরণ করতে হবে। ৮ বছরের কম সময় ধরে চলা গাড়িগুলিতে দু’বছরের জন্যে এই পুনর্নবীকরণ আবশ্যিক। ৮ বছরের বেশি সময় ধরা চলা গাড়িগুলির ক্ষেত্রে প্রতি বছর পুনর্নবীকরণ করতে হবে। বছরে এ জন্যে খরচ ২০০০ টাকা।

    নির্দেশিকা প্রকাশ হতেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বাস–মালিক সংগঠন এবং ক্যাব সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের অভিযোগ, নানা সময়ে প্যানিক বাটন টিপে দেখা গিয়েছে, পুলিশ বা পরিবহণ দপ্তর—কোথাও যোগাযোগ করা যায়নি। যেখানে পুরো ব্যবস্থা কাজই করছে না, সেখানে এই ধরনের বাটন রাখার মানে হয় না। ফলে, পুনর্নবীকরণেরও প্রয়োজন নেই।

    যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে বছর দুয়েক আগে বাস–ক্যাবে ভিএলটিডি যন্ত্র বসানোর নির্দেশ দিয়েছিল পরিবহণ দপ্তর। এই ব্যবস্থায় প্যানিক বাটন টিপলে পরিবহণ দপ্তরের ‘কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার’-এর বড় পর্দায় ওই গাড়ির অবস্থান জানতে পারার কথা দপ্তরের অফিসারদের।

    তাঁদের মাধ্যমে খবর পৌঁছনোর কথা কলকাতা পুলিশের ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স সাপোর্ট সিস্টেম’ (ইআরএসএস)-এ। ইআরএসএসে গাড়ির অবস্থান দেখে পদক্ষেপ করার কথা প্রশাসনের। অল বেঙ্গল বাস ও মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘পুরো ব্যবস্থাটা ঠিকঠাক থাকলে আমাদের টাকা দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু যে সিস্টেম দরকারে কাজে লাগছে না তার জন্যে টাকা দিতে বাস মালিকদের অনেকেই রাজি নন। সেটাই আমরা পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের জানিয়েছি।’

    কিন্তু, কেন কাজ করছে না ভিএলটিডি?

    পরিবহণ–কর্তাদের অবশ্য দাবি, যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। নিয়মিতই ভিএলটিডি–র মাধ্যমে অভিযোগ আসে এবং পদক্ষেপও করা হয়। হয়তো কয়েকটি ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কারণে প্যানিক বাটন কাজ করেনি।

    গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, করোনা–পরবর্তী সময়ে জ্বালানি খরচ যেমন বেড়েছে তেমনই যাত্রী–সংখ্যা কমেছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সরকারকে বাড়তি টাকা দেওয়ার বিপক্ষে পরিবহণ ব্যবসায়ীরা।

    অনলাইন ক্যাব অপারেটার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিস্টেম ঠিক না করে পুনর্নবীকরণের জন্যে টাকা নেওয়া ঠিক নয়। এ কথাই আমরা পরিবহণ দপ্তরের কাছে রেখেছি।’ এ প্রসঙ্গে পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘যাত্রী সুরক্ষার জন্যে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ব্যবসা করতে হলে সরকারি নিয়ম মানতেই হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)