ধান কাটার ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। এর জেরে এ বার ‘সতর্ক’ করা হলো কৃষকদের। মাইকিং করে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের ‘সতর্ক’ করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। পুলিশের নির্দেশ মেনে কাজ না হলে আগামী দিনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখন চলছে বোরো ধান কাটার মরসুম। ধান কাটার জন্য কৃষকরা ব্যবহার করছেন ধান কাটার মেশিন বা হারভেস্টার। এর ফলে অনেক কম সময়ে কাটা হয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা ধান। হারভেস্টার এবং ট্রাক্টর ব্যবহার করেই এই সুবিধা পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে, এর ফলে দেখা দিয়েছে অন্য বিপত্তি।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশের দাবি, ধান কাটার পরে ওই মেশিন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে। হারভেস্টার এবং ট্রাক্টরের চাকায় উঠে আসছে প্রচুর পরিমাণে কাদা ও মাটি। আর সেই কাদায় ভরে যাচ্ছে গ্রামের ভেতরের রাস্তা থেকে শুরু করে রাজ্য ও জাতীয় সড়কও। এখন প্রায় দিনই বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কাদা-মাটি মিশে আরও পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। কাদা মাটিতে বাইক-সহ বিভিন্ন যানবাহনের চাকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনা, ডেবরা, সবং, পিংলা, কেশপুর, নারায়ণগড়, দাঁতন, কেশিয়াড়ি-সহ অন্য এলাকা থেকেও এই নিয়ে অভিযোগ আসছে। দিন কয়েক আগেই রাস্তায় কাদা-মাটির কারণে একাধিক বাইক দুর্ঘটনা ঘটেছে দাঁতনের তুরকা থেকে জেনকাপুর যাওয়ার রাস্তায়। কেশিয়াড়ি, সবং, পিংলার মতন একই অবস্থা খড়গপুর-বালেশ্বর জাতীয় সড়কেও। বাইক আরোহীরা জানান, কাদাযুক্ত রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই সাধারণ মানুষ এবং কৃষকদের সতর্ক করতে শুরু করেছে পুলিশ।
কী বলছে পুলিশ? তাদের তরফে হারভেস্টার ব্যবহার বন্ধ করার কথা বলা হয়নি। তবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জমি থেকে ওঠার পরে ওই ট্রাক্টর এবং ধান কাটা মেশিনের চাকায় যেন কোনওভাবেই মাটি লেগে থাকে। তারপরেও যদি রাস্তায় কাদামাটি লাগে তাহলে তা দায়িত্ব নিয়ে পরিষ্কার করতে হবে সেই কৃষককে। এই নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পিংলা , সবং, কেশিয়াড়ি, দাঁতন-সহ জেলার বিভিন্ন থানায় এই নিয়ে মাইকিং করে কৃষকদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা।