এই সময়: রাজ্যে একের পর এক হাতির মৃত্যুর ঘটনা এবং জখম হাতিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিভঙ্গের অভিযোগে এ বার বিশেষজ্ঞ নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালী চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, জঙ্গলমহলে একাধিক হাতির জখম হওয়া এবং মৃত্যুতে বন দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রথমত, হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি না-মানা এবং জখম হাতিকে সরানোর ক্ষেত্রে নিয়ম না মানার অভিযোগ। আগামী দিনে এমন ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপের আবেদনও করা হয়েছে। অসমের গুয়াহাটিতে অবস্থিত ডিপার্টমেন্ট অফ সার্জারি এবং রেডিয়োলজি কলেজ অফ ভেটেরনারি সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান কুশল কুনোওয়ার শর্মার সঙ্গে রাজ্য সরকারকে যোগাযোগ করে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে তাঁর সম্মতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল এই নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে। তারপরে আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে।
হাতির মৃত্যু নিয়ে এই বিতর্কের মধ্যেই গত ৮ এপ্রিল জঙ্গলমহলেরই ঝাড়গ্রামে নয়াগ্রাম থানা এলাকায় একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। দেহে জলশূন্যতায় হাতিটি মারা গিয়েছে বলে দাবি বন দপ্তরের। এই আবহেই গত বছর অগস্টে প্রথমে হুলা পার্টির তাড়া এবং পরে তাদের ছোড়া জ্বলন্ত শলাকা বিদ্ধ হয়ে হাতির মৃত্যুর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে বন দপ্তরের বিরুদ্ধে।
উত্তরবঙ্গে একটি হাতিকে সরাতে যেভাবে বুলডোজার ব্যবহার করা হয়েছে, তা-ও বিধিভঙ্গের সামিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানিতে পশুপ্রেমী তথা মামলাকারী, হাইকোর্টের আইনজীবী রৈবত বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় পক্ষের দ্বারা গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেন।
তার পরেই তাঁর আবেদনক্রমে উঠে আসে ‘হাতির ডাক্তার’ নামে পরিচিত কুশল কানোওয়ারের নাম। তাঁর প্রোফাইল দেখার পরেই প্রধান বিচারপতি রাজ্যের কৌঁসুলি মহম্মদ তালে মাসুদ সিদ্দিকিকে নির্দেশ দেন, ওই বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে এই ব্যাপারে তাঁকে কোর্ট তদন্তের দায়িত্ব দিলে তিনি তা গ্রহণে রাজি কি না সেই নিয়ে তাঁর মতামত জানতে হবে।