অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। মন্দির নির্মাণ করেছে হিডকো। উদ্বোধনের দিন দিঘায় হাজার হাজার ভক্তের সমাগত হতে পারে। তাই প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে হবে এই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী-সহ প্রশাসনের শীর্ষ আমলারা। বৈঠকে থাকবে পুলিশ ও পরিবহন দফতরের কর্তারাও। থাকবেন ইসকনের প্রতিনিধিরাও। কারণ তাদের হাতেই যেতে চলেছে এই মন্দিরের পরিচালনার দায়িত্ব।
মন্দির উদ্বোধনের দিন সময় দিঘায় প্রচুর ভিড় হতে পারে। কয়েক হাজার মানুষ আসতে পারেন। তাই নিরাপত্তার বিষয়টিও আলোচনা করা হবে বৈঠকে। ১০ থেকে ১৫ হাজার ভক্তদের সমাগম হতে পারে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। আসবেন একাধিক ভিভিআইপিও। এছাড়াও ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত টোটো চলাচলও বন্ধ থাকবে দিঘার ভিতরে। ২৮ এপ্রিল থেকে মন্দির চত্বর ঘিরে প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। ভিভিআইপিদের জন্য তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। সাধারণ দর্শনার্থীদের ২৮ এপ্রিলের মধ্যেই দিঘা পৌঁছে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা নিয়েও আলোচনা হবে বুধবারের বৈঠকে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যে সব রীতিনীতি পালন করা হয়, সেসবকে কয়েকটি এখানেও পালন করার পরিকল্পনা রয়েছে। পুরীর মন্দিরের মতো দিঘার মন্দিরেও প্রতি দিন বিকেলে ধ্বজা তোলার ব্যবস্থা থাকবে। তৈরি করা হবে চৈতন্য ফটকও। থাকবে বিশেষ ভোগের আয়োজন। এক্ষেত্রে দিঘার স্থানীয় মিষ্টান্নকে গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন যে পুরীর মতোই খাজা মিলবে দিঘাতেও। এছাড়াও মিলবে গুজিয়া, কালীঘাটের পেঁড়ার মতো পেঁড়া ইত্যাদি। পুজো দেওয়ার জন্য অনেকগুলো ঘর তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১৩ ফুট উচ্চতার এই জগন্নাথ ধাম ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের দিকে বর্তমানে গোটা রাজ্যের মানুষ তাকিয়ে আছে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও আরও একাধিক বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত থাকবেন।