মুর্শিদাবাদের অশান্তির ঘটনা নিয়ে এ বার NIA তদন্তের আর্জি জানালেন আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। আক্রান্তদের দাবি, অশান্তির সময়ে তাঁদের বাড়িতে বোমা মারা হয়েছে। পুলিশের থেকে সাহায্য পাওয়া যায়নি। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আগামীকাল এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে অশান্তি ছড়ায় সুতি, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকায়। গত সপ্তাহে শুক্রবার রাত থেকে অশান্তি বাড়তে থাকে। একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, ইট বৃষ্টি, অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। বাড়িছাড়া হন একাধিক পরিবার। সেইসব এলাকার বাসিন্দাদের একাংশই এ বার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। আক্রান্তরা দাবি করেছেন, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি। এসপিকে ই মেল করেও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, NIA তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছেও পৃথক আবেদন করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ঘটনায় প্রায় ৩০০ পরিবার ঘর ছাড়া হয়েছে। তাঁদের ঘরে ফেরাতে ২টি আবেদন ও মামলা দায়ের অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তদন্ত করতে চলেছে। তদন্তকারী টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে মুর্শিদাবাদে টিম পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে ধুলিয়ানে যেতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, ‘এই সময়ের মধ্যে অন্য দলের নেতা ও নেত্রীরা সেখানে গিয়েছেন।’ শুভেন্দু যেতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয় নি। আজ দুপুরেই শুনানি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। একটি সংগঠন ধূলিয়ানে তাণ্ডবে ঘরছারাদের জন্য ক্যাম্প করতে চায়। কিন্তু জেলাশাসক কোনও অনুমতি দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। জেলাশাসকের অনুমতি সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হবে।