• প্রাক্তন পুরপ্রধানের ভাইয়ের দোকানে আগুন ঘিরে উত্তেজনা ধুলিয়ানে, কী জানাচ্ছে পুলিশ?
    এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে না আসতেই ফের উত্তেজনা মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে। বুধবার ধুলিয়ান পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবল সাহার ভাইয়ের মুদির দোকানে আগুন লাগার ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। এ দিন সকাল ছ’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ধুলিয়ান পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের জৈন কালোনির কাছে লক্ষ্মী বিড়ির গলিতে।

    দোকানের মালিক প্রবীর সাহার বাড়ি তিন কিলোমিটারের দূরত্বে। তিনি এসে দেখেন সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘মুদি ও স্টেশনারি সামগ্রী ছিল দোকানের মধ্যে। দোকানের অর্ধেক সামগ্রী আগুনে পুড়ে গিয়েছে। ঘটনার সময়ে দোকান বন্ধ ছিল। কী ভাবে আগুন লাগলো পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’ পুলিশ জানিয়েছে, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে। কোনও ভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে অশান্তির সম্পর্ক নেই। এমন ভুয়ো তথ্য না ছড়াতে অনুরোধ করেছে পুলিশ।

    যদিও এই উত্তপ্ত আবহে পুলিশের ওই তত্ত্ব মানতে পারছেন না দোকান মালিক থেকে এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, কে বা কারা ওই আগুন লাগিয়েছে, তা খুঁজে বের করুক পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনীক টহলদারি সত্ত্বেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    সপ্তাহ খানেকের অশান্তির শেষে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল ধুলিয়ান, সুতি, সামশেরগঞ্জের মধ্যে এলাকাগুলি। দোকানপাট, বাজারহাট খুলেছে। স্বাভাবিক চলাফেরা করেছে মানুষ। যাতে ভুয়ো এবং উস্কানিমূলক বার্তা ছড়াতে না পারে, সেই কারণে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার একটা বড় অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এখনও তোলা হয়নি ১৬৩ (পূর্বের ১৪৪) ধারা। আপাতত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তা লাগু থাকার কথা।

    এ দিকে, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে শুরু হওয়া প্রতিবাদ থেকে সৃষ্টি অশান্তির নেপথ্যে বহিরাগতদের হাত রয়এছে বলে সন্দেহ করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ লাগোয়া বাংলাদেশ থেকে ঝামেলায় মদত দেওয়া হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু ঠিক কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, সে বিষয়ে জানতে বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।

    রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকেও মুর্শিদাবাদের ঘটনার নেপথ্যে বহিরাগতদের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে BSF-কে।

  • Link to this news (এই সময়)