মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধীরে ধীরে দোকানপাট খুলছে। নতুন করে কোথাও অশান্তি ছড়ায়নি। বুধবার সকালে প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবল সাহার ভাইয়ের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও, সেটার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক অশান্তির কোনও যোগ নেই বলে দাবি পুলিশের। মালদার শিবির থেকে বাকি পরিবারগুলিকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানালেন জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার আনন্দ রায়।
এসপি বুধবার সকালে বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। প্রতিটি মিনিটেই পরিস্থিতি আরও উন্নত হচ্ছে। দোকান খুলছে। লোকজন রাস্তায় বের হচ্ছেন।’ উল্লেখ্য, অশান্তির ঘটনার পরেই ধুলিয়ান থেকে বহু মানুষ আতঙ্কে ভাগীরথী পার হয়ে মালদার বৈষ্ণবনগরে গিয়ে ওঠেন। ওই শিবির থেকে ধীরে ধীরে পরিবারগুলিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। পুলিশ সুপার জানান, সোমবারই ২০টি পরিবারকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার আরও ৬টি পরিবারকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বাকি পরিবারগুলিকেও খুব শীঘ্রই ফিরিয়ে আনা হবে।
কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়েছে। তবে সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতি, জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় এখনও ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ১৬৩ ধারা এখনও তুলে নেওয়া হয়নি। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬৩ ধারা জারি থাকছে। সন্ধ্যার পর পরবর্তী নোটিস দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করছেন।
উলেখ্য, সংশোধিত ওয়াকফ আইনেই প্রতিবাদে শুক্রবার থেকেই উত্তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকা। হাইকোর্ট জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেন। বুধবার ওয়াকফ নিয়ে কলকাতায় মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘যেখানে অশান্তি হয়েছে সেটা মালদার আসন, মুর্শিদাবাদের নয়। ওটা কংগ্রেসের জেতা আসন। অশান্তি হলে কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিদের মানুষের সঙ্গে থাকা উচিত ছিল।’ পাল্টা কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘প্রশাসন, পুলিশ, সরকার তো আপনার, বিএসএফের কথা বলছেন। কংগ্রেস হারুক বা জিতুক মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে'। কেনও আসছেন না জঙ্গিপুরে, সামশেরগঞ্জে, সেখানে মানুষের পাশে দাঁড়ান।’