• দুবলা শরীর, পাতলা হাত! মেডিক্যাল করাতে নিয়ে যাওয়ার পথে ঢিলে হাতকড়া গলে পালাল চোর...
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিকিৎসকরা বলেন, ওজন কম থাকলে নানা অসুখবিসুখের ঝুঁকি এড়ানো যায়। হৃদয়ের রোগ, রক্তচাপের সমস্যাও কম হয়। তবে রোগা হওয়ার আরও সুবিধা যে রয়েছে, তা দেখিয়ে দিল আলিপুরদুয়ার শহরের এক দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলার আগে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। হাসপাতালে থাকার সময়ই হাতকড়ার ফাঁক গলিয়ে ‘রোগা হাত’ বের করে পালিয়ে যায় সেই দুষ্কৃতী। তবে পরে একঘণ্টার মধ্যে তাকে পুলিশ আবার গ্রেফতারও করে নিয়ে আসে।

    হাতকড়া পরিয়ে রাখার পরেও যে এমন কাণ্ড ঘটতে পারে, তা ভাবতে পারেননি সেখানে উপস্থিত পুলিশকর্মীরাও। তাই হয়তো একটু অসাবধান হয়ে পড়েছিলেন তাঁরাও। এদিকে হাতকড়ামুক্ত হয়ে সেই রোগা অভিযুক্ত যুবক দ্রুত ছুটে পালিয়ে যায়। 

    হতভম্ব ভাব কেটে যাওয়ার পর যখন টনক নড়ে পুুলিশের, ততক্ষণে মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা। এভাবে ধৃত অভিযুক্ত হাতছাড়া হলে কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। তাই সময় নষ্ট না করে পুলিশকর্মীরা তার পিছু নেন। 

    অভিযুক্ত তরুণ তখন আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চৌহদ্দি পার করে রেললাইন ও পাকা রাস্তা অতিক্রম করে কালজানি নদীর বাঁধের রাস্তা অবধি পৌঁছে গিয়েছে। নদী পার হতে পারলেই পুলিশের হাত থেকে  দূরে পালিয়ে যেতে সুবিধা হত। তবে শেষরক্ষা হয়নি। খবর পেয়ে একাধিক পুলিশকর্মী ততক্ষণে বাঁধের রাস্তায় গিয়ে হাজির।  ঘণ্টাখানেকের  মধ্যেই তাকে পাকড়াও করে নিয়ে এসে আদালতে তোলা হয়। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে ফোন করে এমনকি মেসেজ করলেও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    ওই তরুণ স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় হাসপাতালের অলিগলি তার নখদর্পণে বলে মনে করা হচ্ছে। সে হাসপাতালের যেদিক দিয়ে পালিয়েছে, সাধারণত সেখানে লোকজনের যাতায়াত নেই। তাই পলায়ন আরও সহজ হয়েছে। অভিযুক্তের বাবা ভাঙাড়ির কারবার করেন। আর মা পরিচারিকার কাজ করেন। সেই তরুণ চোরাই মাল কিনে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে। 

    সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার শহরের পরপর কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। শহরের বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেইসব চুরির সঙ্গে এই তরুণের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশকর্তারা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)