• ‘কংগ্রেসের জিতে আসা আসনে অশান্তি’, ওয়াকফ বিক্ষোভে ‘প্ররোচনা’ নিয়ে তোপ মমতার
    প্রতিদিন | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • মলয় কুণ্ডু: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতার মাঝে মুর্শিদাবাদের যেসব এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছে, সেসব আসলে মালদহের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেটি কংগ্রেসের জেতা আসন। কংগ্রেসের উচিত ছিল, উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জেনদের সমাবেশে সরাসরি এই অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, “এটা পূর্বপরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক অশান্তি। অনেক প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে, অশান্তি করা হয়েছে। যদি তৃণমূলই এসব করত, তাহলে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কদের বাড়িতে হামলা হত না। তাঁদের আক্রান্ত হতে হত না। আমি কোনও প্ররোচনামূলক কথা বলতে আসিনি। আমি এসেছি আজ শান্তির বার্তা দিতে।”

    বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন রাজ্যের ইমাম, মোয়াজ্জেনদের সংগঠনগুলি। সেখানে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্যের শুরুতেই তাঁর বার্তা, ”জেলাটা মুর্শিদাবাদ হলেও ওটা মালদহের লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ওটা কংগ্রেসের জেতা সিট। কংগ্রেসেরই উচিত ছিল, পরিস্থিতি সামলানো। জেতার হলে জিতবে আর অশান্তি হলে রাস্তায় বেরবে না, এসব তো আশা করা যায় না। জনপ্রতিনিধিদের পথে থাকতে হবে, মানুষের পাশে থাকতে হবে। অশান্তি তৃণমূল করলে আমাদের দলের সাংসদ, বিধায়কদের আক্রান্ত হতে হত না।”

    উল্লেখ্য, অশান্তির জেরে ফরাক্কার বিধায়ক মণিরুল ইসলাম দিনকয়েক ধরে নিজের বাড়িছাড়া, এলাকায় ফিরতে পারছিলেন না। সাংসদ আবু তাহেরের বাড়িতেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। সেসব মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করলেন মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ইশা খান চৌধুরীকেই। এর আগে ইশা খানও মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে দায়ী করেছিলেন। তারই জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    তবে এভাবে তাঁর কংগ্রেসকে নিশানা করা মোটেই ভালোভাবে গ্রহণ করেনি বঙ্গ রাজনীতিতে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। এনিয়ে বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ”উনি নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না আর কংগ্রেসের উপর দায় চাপাচ্ছেন? এসব এলাকা এখনও কংগ্রেসের দখলে রয়েছে, নিজেদের দখলে আনার জন্য উসকানি দিয়ে দাঙ্গা বাঁধাতে চাইছে সরকার। এসব মোটেই মেনে নেব না আমরা। সরকার ব্যর্থ। আমরা জবাব চাই।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)