• ‘‌আমার কাজ শান্তিরক্ষার, অনেকের মাথাব্যথা অন্যকিছু করার’‌, দিঘা নিয়ে সতর্ক মমতার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • হাতে আর সময় বেশি নেই। আর কদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে দিঘার সমুদ্রসৈকতে জগন্নাথধাম। আর তা নিয়েই আজ, বুধবার নবান্নে সমস্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘায় জগন্নাথধামের প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগের দিন ২৯ তারিখ যজ্ঞ শুরু হবে। তার দায়িত্বে থাকছেন পুরীর মন্দিরের রাজেশ দৈতাপতি এবং তাঁর লোকজন। ওইদিনই যাবেন তিনি। প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে ৩০ এপ্রিল। সেদিন বেলা ১১টায় রাজেশ দৈতাপতিরা প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন। বেলা ২টো ৩০ মিনিট নাগাদ রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠান হবে। ৩টে ১০ মিনিটের মধ্যে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দ্বারোদঘাটন ও মন্দির উদ্বোধন হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

    এই দিঘার জগন্নাথধামের সমস্ত কাজকর্ম দেখে নেবেন রাজেশ দৈতাপতি এবং ইসকন কলকাতার সহ–সভাপতি রাধারমন দাসরা। তাঁরা সেখানে থাকবেন। তার সঙ্গে বেশ কিছু অনুষ্ঠানও হবে। তবে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার উপর আজ জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌এটা একটা নতুন কর্মক্ষেত্র, ধর্মক্ষেত্র। মহাকুম্ভমেলায় যেভাবে হাইপ তোলা হয়েছিল আমরা সেটা করিনি। তিনটি হ্যাঙ্গার থাকবে। দিঘা কনভেনশন সেন্টারে শিল্পপতিদের জায়গা রাখা হয়েছে। মে আই হেল্প ইউ শিবির থেকে শুরু করে মেডিক্যাল ক্যাম্প থাকবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ভাল করে কো–অর্ডিনেট করতে হবে। নোডাল অফিসার থাকবে। ২৯ তারিখ যজ্ঞ হবে। পুরীর সেবায়েত করবে। ২৯ তারিখ বেলায় আমি যাব।’‌


    এদিন একটি বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার মধ্যে দিয়েই যেন জবাব দিয়ে দিলেন। এখানে জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে ৩০ তারিখ। অর্থাৎ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। দ্বারোদঘাটন হবে এবং অনুষ্ঠান হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‌জগন্নাথধাম হস্তান্তর করা হবে ইসকনকে। শরীরের জন্য ভাল সমুদ্রের হাওয়া। তাই সেখানে দু’‌দিন সবাই থাকুন। লারিকা হোটেলে রাখা হবে সংবাদমাধ্যমকে। জেলা পরিষদ যে ভবন গড়ে তুলেছে সেটা হস্তান্তর করে দিয়েছে। সেখানে পুলিশ, দমকল থাকবে। সবার সহযোগিতায় বোঝা যাবে কতটা কাজ করা যাবে। ২৮ তারিখ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজি থাকবেন।’‌

    এই বিরাট কর্মযজ্ঞে মানুষের ভিড় হবে। কিন্তু পদপিষ্টের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকে নজর রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সভাঘর থেকে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কবার্তা, ‘‌ওইদিনের আগে রেলের পরিকল্পনা জানাতে হবে। রেলকে অনুরোধ করব, যাতে ভিড় পরিষ্কার করে দেয়। বাড়তি কিছু চাইছি না। আরও কিছু ফাঁকা জায়গা পেলে তাহলে সেখানেও কিছু ব্যবস্থা করা যায়। কিছু তাঁবু করতে পারলে ভাল হবে। মন্দিরের সামনের জায়গায় খালি পায়ে যেতে হবে। আমিও খালি পায়ে যাবো। আমার চিন্তা আছে শান্তি রক্ষা নিয়ে। আর অনেকের মাথাব্যথা আছে অন্যরকম কিছু করার। আমি ৫ লাখ ১ টাকা দেবো সোনার ঝাড়ু কিনতে। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কাছে স্বেচ্ছাসেবক দেওয়ার অনুরোধ করব। সিসিটিভি স্থায়ীভাবে লাগাতে হবে। ওখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে উদ্বোধনের আগে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)