কলকাতার বাতাসে শ্বাস নিচ্ছেন? কতটা নিরাপদ এই বায়ু? বিপদের বার্তা দিল সমীক্ষা
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে নাগাড়ে আলোচনা চলে, কিন্তু কেমন আছে আমাদের রাজ্যের রাজধানী কলকাতা? তথ্য বলছে, একেবারেই ভালো নেই। শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা স্বাস্থ্যহানির পক্ষে যথেষ্ট। অবিলম্বে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে অবস্থা আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের।
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় সামনে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, কলকাতায় বায়ুর হালহকিকত জানতে 'দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট' ধূলিকণার বাড়বাড়ন্ত। যার উৎস নানাবিধ।
জানা গিয়েছে - বিভিন্ন নির্মাণস্থল, আবর্জনা পোড়ানোর জায়গা, ডাম্পিং গ্রাউন্ডে লাগা আগুনের ধোঁয়া থেকে এই ধরনের সূক্ষ ও অতি সূক্ষ ক্ষতিকারক ধূলিকণা কলকাতার বাতাসে মিশে যাচ্ছে। যার মাত্রা যথেষ্ট বিপজ্জনক।
সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি ২০২২-২৩, এবং ২০২৩-২৪ সালের শীতকালে শহরের বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি ২০২৩ সালের গ্রীষ্মেও একই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। শহরের মোট ছ'টি জায়গায় এই সমীক্ষা চালিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে দেখা গিয়েছে, ধুলো তথা ধূলিকণা বৃদ্ধির কারণেই শহরের বাতাস ক্রমশ 'বিষিয়ে' যাচ্ছে। শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে দূষণের পরিমাণ আরও বাড়ছে।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, শহরের কেন্দ্রস্থলে - যেখানে যানবাহনের সংখ্যা বেশি এবং প্রচুর পরিমাণে খাবারের দোকান ও বস্তি এলাকা রয়েছে - যেখানে মূলত কাঠের জ্বালে রান্না করা হয়, সেখানে যানবাহন ও উনুন থেকে বের হওয়া ধোঁয়ার ফলে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে সূক্ষ এবং অতি সূক্ষ ধূলিকণা মিশে যাচ্ছে। একই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে কলকারখানা থেকে বের হওয়া ধোঁয়াতেও।
প্রসঙ্গত, বায়ূদূষণ রোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেক ২০১৯ সালে 'ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম' বা এনক্যাপ শুরু করা হয়। যার লক্ষ্য হল - ২০২৬ সালের মধ্য়ে বাতাস থেকে পিএম১০-এর মাত্রা অন্তত ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনা। কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক শহর এই কর্মসূচির আওতায় রয়েছে।
কিন্তু, এক্ষেত্রে দু'টি বিষয় উল্লেখযোগ্য - তা হল - পিএম১০ -এর থেকেও পিএম২.৫ অনেক বেশি ক্ষতিকর। কারণ - তা আমাদের ফুসফুসে ঢুকে যায়। আর অন্যদিকে, নির্বাচিত বোর্ড না থাকায় ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর-সহ একাধিক পুরসভা ও পুরনিগমের জন্য বরাদ্দ এনক্যাপ ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।