• মুর্শিদাবাদে উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে নদিয়ায় সম্প্রীতির বার্তা চাপড়ার তৃণমূল নেতার
    এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেখানে উত্তেজনার আঁচ এতটাই যে, বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্র করে যখন সমগ্র বাংলা উত্তপ্ত ঠিক সেই সময় সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নেতা। নদিয়ায় এক হিন্দু পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সীমান্তবর্তী চাপড়ার সংখ্যালঘু সেলের তৃণমূল নেতা জেবের শেখ।

    কী ভাবে সেই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জেবের শেখ? জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে নদিয়ার চাপড়ার মাধবপুর গ্রামের তৃণমূল সমর্থক বরুণ প্রামাণিকের মৃত্যু হয়। পেশায় তিনি ছিলেন দিনমজুর। মৃত বরুণ প্রামাণিকের পরিবারে তিনিই ছিলেন একমাত্র রোজগেরে। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে হঠাৎই বরুণ প্রামাণিকের মৃত্যুতে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েন। সেই পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে তাঁদের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করারও সামর্থ নেই। এমন পরিস্থিতিতে সেই দুস্থ পরিবারের কথা শুনে এগিয়ে আসলেন সেখানকার তৃণমূল নেতা জেবের।

    তিনি নিজের কাঁধেই শ্রাদ্ধের সব দায়িত্ব তুলে নেন। মঙ্গলবার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সম্পূর্ণ শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান তদারকি করেন তিনি। জানা গিয়েছে, এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও সেই এলাকায় অনেক পরিবারের বিপদে-আপদে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন জেবের শেখ। এ দিন তিনি বলেন, ‘এটা একটা সম্প্রীতির বার্তা। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শিখিয়েছেন, সব সময়ে মানুষের পাশে থাকতে। চাপড়ায় আমার হিন্দু ভাইরা সংখ্যালঘু, তাই তাঁদের পাশে থাকতে হবে। আমরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করি, এটা আমার দায়িত্ব, কর্তব্য বলে মনে করি।’

    এ বিষয়ে মৃত বরুণ প্রামাণিকের ছেলে সুমন বলেন, ‘যে ভাবে জেবের শেখ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি। তিনি সব সময়ই বিপদের সময়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান। আমাদের আশ্বাস আগামী দিনেও তিনি আমাদের পাশে এভাবেই থাকবেন।’

  • Link to this news (এই সময়)