• ‘যাঁরা দাগি নন, আপাতত চাকরি থাক তাঁদের’, সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবারই শুনানি হতে পারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আর্জির
    আনন্দবাজার | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে তাদের আর্জি যাঁরা ‘দাগি’ (টেন্টেড) বা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ নন, আপাতত তাঁদের চাকরি বহাল থাক। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হতে পারে বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল। ওই দিন শীর্ষ আদালতের তালিকায় এই মামলাটিকে রাখা হয়েছে। তালিকাটি বুধবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা গিয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনটি বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য রয়েছে ৩৫ নম্বরে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ এই মামলা শুনতে পারে।

    গত ৩ এপ্রিল চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে আদালত। বহাল রাখা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ। এর ফলে ২৫ হাজার ৭৩৫ জনের চাকরি গিয়েছে। এঁদের মধ্যে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ রয়েছেন অনেকে। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে বলা হয়েছে। পর্ষদ জানিয়েছে, এই রায়ের মধ্যে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। অনেক স্কুলে পড়ানোর মতো শিক্ষক থাকবেন না বলে জানিয়েছে তারা। আদালতে পর্ষদের আবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের ৯,৪৮৭টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৬,৯৫২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে শিক্ষক সঙ্কট তৈরি হবে।

    এই সমস্যার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে পর্ষদের আবেদন, যাঁরা ‘দাগি’ হিসাবে চিহ্নিত, তাঁরা ছাড়া বাকিদের চাকরি আপাতত রাখা হোক। চলতি শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত অথবা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি থাক।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই পথে নেমেছেন বহু চাকরিহারা। অভিযোগ, ‘যোগ্য’ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের চাকরি গিয়েছে। চাকরি ফেরানোর দাবিতে বুধবার থেকে তাঁদের একাংশ দিল্লিতে যন্তরমন্তরের সামনেও অবস্থান শুরু করেছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চাকরিহারাদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দেওয়া হবে। রায়ের ব্যাখ্যাও চাওয়া হবে। চাকরিহারাদের স্বেচ্ছায় পরিষেবা দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কী বলে, সে দিকে নজর থাকবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)