• মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় ৯ সদস্যের সিট গঠন রাজ্যের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • মুর্শিদাবাদের অশান্তির ঘটনার তদন্তের জন্য ৯ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। এই দলের নেতৃত্বে থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক। পাশাপাশি দলে থাকবেন রাজ্য, জেলা পুলিশ, এসটিএফ, সিআইডি ও রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা। এই দলই সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে ঘটে যাওয়া অশান্তির ঘটনার তদন্ত করবে।

    সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের জেরে গত শুক্রবার অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি এলাকায়। অশান্তির ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। আক্রান্ত হন অনেকে। বহু পরিবারকে ঘরছাড়া পর্যন্ত হতে হয়। অশান্তির জেরে বাবা ও ছেলেকে খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ বার অশান্তির তদন্তে সিট গঠন করল পুলিশ।

    বুধবার সকালে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, সুতি এবং সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাফরাবাদে বাবা এবং ছেলেকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, নতুন করে সামশেরগঞ্জে আর কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বুধবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পরিবারকে ধুলিয়ানে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিদেরও ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। আগামী শুক্রবারের মধ্যে সব ঘরছাড়াকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।

    ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই সামশেরগঞ্জ বাদে জেলার বাকি অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এলাকায় মোতায়েন ছিল ১৬৩ ধারা। তবে এখনও পর্যন্ত এলাকায় মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ। হিংসা কবলিত এলাকায় মোট ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম বিক্ষোভকারীদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে পুলিশ।

    অন্যদিকে, বুধবার সকালে ধুলিয়ান পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিধান সরণিতে একটি দোকানে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই দোকানটি ধুলিয়ান পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুমিত সাহার ভাই প্রবীর সাহার। দোকানটি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয়দের মধ্য গুজব রটে, কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশের তিনটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরে দোকানে আগুন লেগে থাকতে পারে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)