• 'রেল বেশি লোক পাঠালে সামলাতে পারব না', জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে সতর্ক মমতা!
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'বাংলায় একটি নতুনত্ব যা হাজার হাজার বছর ধরে থাকবে'। দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বললেন, 'এটা নতুন কর্মক্ষেত্রে, ধর্মক্ষেত্র এবং বিশেষ করে মন্দিরকে অনেক বাজার গড়ে উঠবে। অনেক মানুষ কর্মক্ষেত্রে জড়িত হবে। পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন সংযোজন হবে'। 

    পুরীর আদলে এবার জগন্নাথ মন্দির দীঘায়। ৩০ এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়া দিনে মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, বুধবার প্রস্তুতি বৈঠক হয়ে গেল নবান্নে। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'জগন্নাথ ধাম আমার দীর্ঘদিনের কল্পনা ছিল। যেহেতু সমুদ্রের ধারে, পুরীতে জগন্নাথ দেবের মন্দির ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি। বাংলায় একটি নতুনত্ব যা হাজার হাজার বছর ধরে থাকবে। বাংলার মানুষ-সহ, দেশের মানুষ-সহ সারা পৃথিবীর মানুষ এটাকে তীর্থস্থান এবং ধর্মস্থান হিসেবে.. দিঘাতে এমনিতেই পর্যটনকেন্দ্র আছে'।

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত যা হয়েছে,আমরা চাইলে যেমন মহাকুম্ভের মেলা হয়েছে, প্রচুর হাইপ করে করতে পারতাম। আমরা কিন্তু সেটা করিনি। ওদের ওখানে  জায়গাটা বড় আছে। দিঘায় কিন্তু জায়গাটা ছোট। মন্দিরে জায়গাটা অনেকটা বড়। মন্দির খুব বড় করে তৈরি হয়েছে। কিন্তু রাস্তাটাই খুব বড় নয়। ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হাইপ করে ডেকে আনব।  তারপর তারা কোথায় থাকবে, তারা কোথায় যাবে, তাঁর সুনির্দিষ্ট বন্দোবস্ত করার জন্য প্রতিটি ব্লকে ব্লকে এলইডি টিভি লাগাচ্ছি। যাতে সারা বাংলাজুড়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে মানুষ দেখতে পায়'।

    ২৯ এপ্রিল যজ্ঞ হবে দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরে। এরপর ৩০ এপ্রিল বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা ও মন্দির উদ্বোধন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  '৩ এয়ার কন্ডিশনড হ্যাংগার থাকবে। হ্যাংগার নম্বর ১ ক্যাপাসিটি ৬ হাজার জন। উদ্বোধনের মূল মঞ্চ এখানে থাকবে। এটা ৩০ তারিখের অনুষ্ঠানের জন্য। সেদিন সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান করছি। জিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়, ইলোরা বন্দ্যোপাধ্যায় অদিতি মুন্সি এবং ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়।  যাঁরা যেতে চান, ২৮ তারিখ দুপুরের মধ্যে চলে যাবেন। শিল্পপতিদের জন্য আমাদের কনভেনশন সেন্টারে জায়গা রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল ক্যাম্পও থাকবে। আর কয়েকটা অ্যাম্বুল্যান্স, যদি প্রয়োজন হয়'।

    এদিকে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে দীঘায় বহু মানুষের ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশ, 'সিস্টেমটা খুব ক্নিন রাখতে হবে। একটি গাড়ি, আর একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দিল, মহাকুম্ভে অনেক লোক কিন্তু মারা গিয়েছে। ট্রাফিক সিস্টেম ভালো করে করতে হবে। প্রতিটি জেলায় নোডাল অফিসার থাকবে। রাস্তায় মানুষের সমস্যা হলে, সেটাও দেখে নেবে'।

     ২০১৯ সালে দীঘায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করতে দিঘায় যান মুখ্যমন্ত্রী। তখন মন্দিরের নকশা দেখিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, 'আর একটা জগন্নাথ টেম্পল করে দেব। ট্যুরিজমের সঙ্গে ধর্মীয় স্থান থাকে। রিলিজিয়স ট্যুরজিমও হয়'। এরপর ২০২২ সালে ভূমিপুজো করে শুরু হয় মন্দির তৈরির কাজ।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)