ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে ধরনা দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশনও করেছিলেন। আর সেই আন্দোলন করতে গিয়েই নাকি খরচ হয়ে গিয়েছে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি! অনিকেত মাহাতো-কিঞ্জল নন্দ-দেবাশিস হালদারদের খরচের বহর সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। প্রশ্ন উঠছে, অনশন বা ধরনা এমন কী করা হয়েছিল যাতে এতগুলো টাকা খরচ হয়েছিল? তৃণমূল বারবার বলেছে, আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা কাজের চেয়ে প্রচার বেশি করেছে। তবে কি সেই পাবলিসিটি স্টান্ট করতেই জলের মতো খরচ করা হয়েছে অনুদান? উঠছে প্রশ্ন।
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছে বাংলা। আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারা। সেই সময় অভয়া তহবিলের নাম করে টাকা তুলেছিল অনিকেত মাহাতো-কিঞ্জল নন্দ-দেবাশিস হালদাররা। কিন্তু সেই টাকা কোথায়, কীভাবে খরচ হচ্ছে, তার কোনও হদিশ আম আন্দোলনকারীরা জানতেও পারেনি। কিন্তু এই হিসেব জানতে ক্রমাগত চাপ তৈরি করেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এবং সাধারণ মানুষ। লাগাতার সেই চাপের মুখে অবশেষে বুধবার অভয়া তহবিলের হিসেব প্রকাশ্যে এনেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই হিসেব নিকেশ দেখেই চক্ষু চড়কগাছ।
দেখা যাচ্ছে, ধর্মতলার অনশনে খরচ হয়েছে ৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ২৫৭ টাকা। আর জি করের ধরনা মঞ্চে খরচ হয়েছিল ৬ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে এই খরচটা ১৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকারও বেশি। স্বাভাবিকভাবেই যা নিয়ে প্রশ্নের ঝড়। দুর্গাপুজোর সময় ধর্মতলায় অনশনে করছিলেন জনা কয়েক জুনিয়র ডাক্তার। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা খাওয়া-দাওয়া করছিলেন না। খরচ বলতে, মঞ্চ বাঁধা আর আনুষঙ্গিক কিছু ব্যবস্থা করা। সেখানে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন দেবাশিসরা। একই প্রশ্ন উঠছে আর জি করের ধরনা মঞ্চ ঘিরেও।
তৃণমূল বারবার অভিযোগ করেছে, অভয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অথচ অভয়ার জন্যই সেই টাকা খরচ করা হয়নি। সন্তানহারা মধ্যবিত্ত মা-বাবার হাতেও আর্থিক সাহায্য় তুলে দেওয়া হয়নি। তাহলে কোথায় খরচ করা হয়েছে টাকা? এদিন ওয়েস্টবেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে জানানো হয়েছে, তহবিলে থাকা বাকি টাকা অভয়ার জন্য আইনি লড়াইয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কোথায় সেই লড়াই, আইনজীবী কে, কত খরচ করা হচ্ছে তাঁদের জন্য তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি ফ্রন্ট।