একই স্কুলের একাধিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। কোথাও কোথাও ক্লাস নেওয়ার শিক্ষক পর্যন্ত নেই। এই অবস্থায় একাধিক সেকশনকে এক জায়গায় এনে ক্লাস করাচ্ছেন পাঁচলার আজিম মোয়াজ্জম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এ দিকে এক ক্লাসে কি আর এত পড়ুয়া ধরে? অভিযোগ, সেই কারণে বুধবার দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হয় অষ্টম শ্রেণির কয়েক জন পড়ুয়াকে। প্রথম দিনই এ ভাবে ক্লাস করে একেবারে ক্লান্ত তারা। জানতেও চায়, এ ভাবে কত দিন ক্লাস করতে হবে?
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই বিদ্যালয়ের চার জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে। ফলে আলাদা করে ক্লাস নেওয়ার মতো শিক্ষকই নেই। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ক্লাসের সেকশনগুলিকে এক সঙ্গে ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার অষ্টম শ্রেণির চারটি সেকশনের একসঙ্গে ক্লাস হয়।
আবার নবম শ্রেণির তিনটি সেকশনের ক্লাস হয় একসঙ্গে। আর এতেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। একটি ক্লাসে একসঙ্গে এত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী বসার জায়গা না থাকায়, অনেককেই দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হয়। তবে শিক্ষকদেরও যে কিছু করার নেই। না হলে যে পড়াতেই পারবেন না।
ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শামসুদ্দিন আহমেদ। তবে তিনি যা বললেন, তাও গুরুত্ব দিয়ে ভাবার। প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘এমনিতেই আমাদের বিদ্যালয়ে ১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ খালি পড়ে আছে। এর পর আবার ৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে।’ এত দিন স্কুলের পরীক্ষা চলছিল। তাই সমস্যা বোঝা যায়নি। কিন্তু বুধবার থেকে ক্লাস চালু হতেই সমস্যা প্রকট হয়।
শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা কম থাকায় বিভিন্ন ক্লাসের সেকশনগুলি একসঙ্গে করে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে। যত দিন না পর্যন্ত এই সমস্যার সুরাহা হচ্ছে, ততদিন এ ভাবে ক্লাস নিতে হবে। অন্য দিকে অভিভাবকদের বক্তব্য, অনেক স্কুলেই শিক্ষক আছেন, পড়ুয়া কম। সেই সব স্কুল থেকে শিক্ষা দপ্তর দ্রুত বদলি করে আনুক। তা হলে একমাত্র এর সমাধান সম্ভব।