• সোনার ঝাডুতে মমতা দেবেন ৫ লাখ, জগন্নাথধাম উদ্বোধনে আর কী কী হবে দিঘায়?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। তার প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। বুধবার নবান্নে ছিল জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের প্রস্তুতি বৈঠক। তবে জগন্নাথ মন্দিরের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে একেবারে চোখ ধাঁধানো করার সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একদিকে মেগা আয়োজন আর অন্য়দিকে ভক্তিভাব যাতে বজায় থাকে তার সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে খবর।

    মোটামুটি ২৮ এপ্রিল থেকে দিঘাতে শুরু হয়ে যাবে উৎসব। পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা তার আগে থেকে চলে যাবেন দিঘাতে। দিঘার প্রচুর হোটেল বুক করা হচ্ছে। দেশ বিদেশ থেকে সংবাদমাধ্য়মের প্রতিনিধিরাও আসবেন এই অনুষ্ঠানে। আসলে দিঘার এই জগন্নাথধামকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

    তবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে যাতে কোথাও কোনও অঘটন না হয় সেব্যাপারে সতর্ক হয়ে পা ফেলা হচ্ছে। ২৭ এপ্রিলই পাঁচ মন্ত্রী চলে যাবেন দিঘাতে। অরূপ বিশ্বাস, পুলক রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সুজিত বসু ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে দিঘা যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও যাচ্ছেন দিঘাতে। কার্যত এপ্রিলের ২৭ তারিখ থেকে সব রাস্তা মিলছে দিঘাতেই।

    এই উদ্বোধনী কর্মসূচিতে একাধিক অনুষ্ঠান থাকছে। তার মধ্য়ে অন্য়তম বিষয় হল মন্দিরের সামনের রাস্তা ঝাঁট দেওয়া হবে সোনার ঝাড়ু দিয়ে। আর এই সোনার ঝাড়ু কেনার জন্য খোদ মুখ্য়মন্ত্রী নিজের থেকে দিচ্ছেন ৫ লাখ ১ টাকা। মুখ্য়মন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, আমি ঠিক করেছি এই টাকা দেব ঝাড়ুর জন্য। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারই তিনি মুখ্যসচিবকে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ওই চেক কেটে দিয়ে দেবেন।

    এতদিন দিঘা মানেই ছিল বাঙালির সমুদ্র দর্শনের সহজ ঠিকানা। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। একঝলক দেখলেই মনে হবে পুরীতে আছেন।

    আর এই জগন্নাথধামকে ঘিরে গোটা এলাকার চালচিত্র ক্রমশ বদলে যাচছে।

    মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন সেকথা। তিনি জানিয়েছেন, ২৯শে এপ্রিল চার পাঁচ ঘণ্টা ধরে যজ্ঞ হবে। ৩০ তারিখে বেলা ১১টা নাগাদ হবে মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। এরপর হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।ওড়িশি নৃত্য পরিবেশন করবেন নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্য়ায়।

    একাধিক নামী সংগীত শিল্পীও থাকছেন।

    এদিকে দিঘায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসা পূণ্যার্থীদের জন্য় তাঁবুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানেও আসে সেই মহাকুম্ভের প্রসঙ্গ। মমতা বলেন, ওখানেও তাঁবু ছিল। কিন্তু দুলাখ না আড়াই লাখ করে নেওয়া হয়েছে। আমরা কারও কাছে কোনও টাকা নেব না।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)