• বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তির টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সক্রিয় দালালচক্র
    বর্তমান | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পতিরাম: বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় কিস্তির টাকার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরছে দালালরা। নির্মীয়মাণ ঘরের ছবি তুলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দ্রুত উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে বিনিময়ে কিছু ‘কাটমানিও’ দাবি করছে। কোথাও ১০ হাজার টাকা দাবি করা হচ্ছে। কোথাও আবার ১৫ হাজার। 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বালুরঘাটের ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের বহু গ্রামে ঘুরছে প্রতারকরা। অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও এই দালালচক্র সক্রিয়। গ্রামগঞ্জ থেকে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন। দালালচক্র ধরতে এবং উপভোক্তাদের সচেতন করতে বালুরঘাট ব্লকের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে জরুরী বৈঠক ডাকলেন বিডিও। 

    বালুরঘাটের বিডিও  সম্বল ঝা বলেন, ব্লক থেকে কেউ উপভোক্তাদের বাড়ি যাচ্ছেনা। কেউ যদি এভাবে বাড়ি গিয়ে টাকা চায়, সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চায়েত ও ব্লকে জানাতে হবে। যাঁরা দালালদের টাকা দিয়েছেন, তাঁদের থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। 

    বিডিও’র সংযোজন, আমরা প্রথম থেকেই বলছি, বাংলার বাড়ি পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হয় না। উপভোক্তাদের নিয়ে বৈঠকও করেছি। এনিয়ে বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক করব। গ্রামে গ্রামে মাইকিংও করা হবে। 

    দক্ষিণ দিনাজপুরের বহু মানুষ বাংলার বাড়ি পেয়েছেন। বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকেছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকার অপেক্ষায় রয়েছেন উপভোক্তারা। উপভোক্তাদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দ্রুত ঢুকিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা দাবি করছে কিছু মানুষ।

    অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে গ্রামে গ্রামে এক ব্যক্তি বাইক নিয়ে ঘুরছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছবি তুলে টাকা দাবি করছে। টাকা না দিলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকবে না বলে গ্রামের সহজসরল মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে।

    এভাবে নকশা গ্রামে একজনের থেকে বারো হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে বলে  প্রতারকরা। এবিষয়ে বালুরঘাটের ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ বলেন, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবদূত বর্মনের বক্তব্য, যে লোকটি আমাদের এলাকায় ঘুরেছিল, তার বাইকের নম্বর পাওয়া গিয়েছে। সেটা থানায় জানিয়েছি। নম্বর যাচাই করে জানা গিয়েছে, গাড়িটি মালদহ জেলার। ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শিবু সরকার বলেন, এর আগে এক ব্যক্তি টাকা চাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিল। এবার এক মহিলা টাকা দিয়েছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)