• অর্থ কমিশনের টাকা খরচে ঢিলেমি, ফান্ড কাড়ার হুঁশিয়ারি ক্ষুব্ধ ডিএমের
    বর্তমান | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে ঢিলেমি দেখে ক্ষুব্ধ জেলাশাসক। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বরাদ্দ খরচ করতে না পারলে গ্রাম পঞ্চায়েতের ফান্ড কেড়ে নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ব্যর্থতার জন্য প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না প্রশাসন। জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া এদিন বলেন, যে গ্রাম পঞ্চায়েত কাজ করবে না, তার ফান্ড কেড়ে নিয়ে সেই টাকা অন্য পঞ্চায়েতকে দেওয়া হবে।

    বুধবার বিকেলে জেলার সমস্ত বিডিও এবং আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক পর্যালোচনা করেন জেলাশাসক। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই বৈঠক চলে। সেখানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি সহ উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তাজমুল হোসেন। 

    বৈঠকে জেলাশাসক রাজ্য সরকারের প্রকল্প ধরে ধরে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও বিডিওদের কাছ থেকে কাজের গতিপ্রকৃতি জানতে চান। জানা যায়, বেশকিছু পঞ্চায়েতে কাজের গতি সন্তোষজনক থাকলেও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের খরচের দিক থেকে মালদহের বহু গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বেশকিছু পঞ্চায়েত সমিতি অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। তাদের কার্যত নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে তার মধ্যেই সমস্ত টাকা খরচের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক নীতিন।  

    প্রশাসন এবং জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়োন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চের শেষ সপ্তাহে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকেছে। অথচ প্রথম কিস্তির সম্পূর্ণ টাকাই এখনও খরচ করা যায়নি। যা চিন্তা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসনের।

    মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, এদিনের বৈঠকে সমস্ত বিডিও উপস্থিত ছিলেন। পুজোর আগেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা খরচ করতে হবে। পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে শীঘ্রই টাকা খরচের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    প্রথম কিস্তির টাকা খরচ করতে না পারা প্রসঙ্গে সহকারী সভাধিপতি আরও বলেন, কাজ হয়ে গিয়েছে। পোর্টালে আপলোডও করা হয়েছে। শীঘ্রই সমস্ত বিল মিটিয়ে দেওয়া হবে। 

    নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করতে না পারলে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হবে বলে আগেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। লক্ষ্য পূরণ করতে বারবার প্রশাসনের তরফে তদারকি করা হলেও ভ্রুক্ষেপ নেই অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রথম কিস্তির টায়েড এবং আনটায়েড ফান্ডের খরচের গতি দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ জেলাশাসক। তাঁর ধমক খাওয়ার পর কি টনক নড়বে? 

    - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)