নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: রাখালদের হাতে শুরু হওয়া কালীপুজোই এখন সর্বজনীন। কথিত আছে, দীর্ঘদিন আগে রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া ছত্রপুর এলাকায় গরু চড়াতে আসত রাখাল বালকরা। বৈশাখের দুপুরে তারা অবসর সময়ে একজন কাপালিক ও একজন পাঁঠা সেজে বলি দেওয়ার খেলা খেলছিল। সেই সময় পাঁঠারূপী এক রাখালের গলা কেটে যায়। তারপর থেকেই প্রতিবার ২রা বৈশাখ ছত্রপুরের রাখালদের উদ্যোগে শুরু হয় কালীপুজো। যেটি বর্তমানে প্রসিদ্ধ রাখালকালী নামে। নির্দিষ্ট করে পুজোর বয়স জানা না গেলেও ৫৯ বছর ধরে সর্বজনীনভাবে রাখালকালীর পুজোর আয়োজন করে আসছে ছত্রপুরের রাখালকালী মেলা ও পুজো কমিটি। আর এই পুজো ঘিরেই বুধবার হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় পুজো প্রাঙ্গণে। বসে বিশাল মেলা। চলবে আজ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। মানুষের বিশ্বাস রাখালকালীর পুজো করলে পূর্ণ হয় মনস্কামনা। পুজো উপলক্ষ্যে আজও পাঁঠা বলি চালু আছে। রাখালকালী মেলা ও পুজো কমিটির সম্পাদক জ্যোতিবিকাশ বর্মণের দাবি, আর পাঁচটা কালীপুজোর থেকে আমাদের রাখাল কালীপুজোর পিছনে রোমহর্ষক লোকশ্রুতি রয়েছে। অবিভক্ত বাংলাদেশ থেকেও আগে ভক্তরা আসতেন। এখনও আমরা পুরনো রীতিনীতি মেনেই মায়ের পুজোর আয়োজন করি। নিজস্ব চিত্র