• শিলিগুড়ির মেগা জল প্রকল্প: জমি নিয়ে প্রশাসনিক জট কাটল, বনদপ্তরকে ৮৮ লক্ষ টাকা প্রদান
    বর্তমান | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: অবশেষে কিছুটা জমিজট কাটল মেগা জল প্রকল্পের। বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চলের ১০ কিমি এলাকায় তিস্তা নদীর পাশ দিয়ে জলের পাইপ পাততে বনদপ্তরকে ৮৮ লক্ষ টাকা প্রদান করছে পুরসভা। আগামী সোমবার থেকে সেখানে পাইপ পাতার কাজ শুরু হবে। মেগা জল প্রকল্প নিয়ে গঠিত টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের পর বুধবার এমন কথা জানান শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। তবে বন্যপ্রাণীর করিডরে ইনটেক ওয়েল তৈরির অনুমোদন এখনও মেলেনি কেন্দ্রের কাছ থেকে। শুধু তাই নয়, আটটি ওভার হেড রির্জাভার তৈরি করতে জমিও মেলেনি। যার জেরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। 

    শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে ৫১১ কোটি টাকার মেগা জল প্রকল্প হাতে নিয়েছে পুরসভা। এই প্রকল্পে গজলডোবায় তিস্তা নদী থেকে অপরিস্রুত জল পাইপের মাধ্যমে ফুলবাড়িতে ট্রিটমেন্ট প্লান্টে নিয়ে যাওয়া হবে। গতবছর সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়। কিন্তু জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতার জেরে এখনও পাইপ লাইন পাতার কাজ শেষ হয়নি। কিছু জায়গায় তা থমকে রয়েছে। 

    পুরসভা সূত্রে খবর, গজলডোবা থেকে ফুলবাড়ি প্লান্টের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ২৭ কিমি। মেগা জল প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট রুটে পাইপ পাতার কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২টি কিমি এলাকায় পাইপ পাতার কাজ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এদিন পুরভবনে টাস্ক ফোর্সের মিটিংয়ে আলোচনা হয়। মেয়র ছাড়াও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত, জল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা ছিলেন। বৈঠকের পর মেয়র বলেন, প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বনদপ্তরের ১০ কিমি এলাকা দিয়ে পাইপ পাতার অনুমোদন দিয়েছে। এজন্য তাদেরকে ৮৮ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার থেকে সেখানে কাজ শুরু হবে। ট্রাক টার্মিনাসের ৩০০ মিটার এলাকা রয়েছে। এজন্য পরিবহণ দপ্তরের কাছ থেকে অনুমোদন মিলেছে। সেচদপ্তরের কাছ থেকে ২০০ মিটার এলাকা ব্যবহার করার অনুমোদনও মেলার পথে। তবে প্রকল্পের ৬০০ মিটার এলাকায় রয়েছে বন্যপ্রাণীদের করিডর। রাজ্য বন্যপ্রাণ বোর্ডের কাছে এ ব্যাপারে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের বন্যপ্রাণ বোর্ডের কাছ থেকে অনুমোদন আনার প্রক্রিয়া চলছে। মেগা জল প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে পন্ড ও ১৩টি ওভারহেড রিজার্ভার তৈরি করা হবে। মেয়র বলেন, পাঁচটি রিজার্ভারের জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি আটটি রিজার্ভারের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে। সেই জমি জোগাড় করতেও তেমন সমস্যা হবে না। এই প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেছি। 
  • Link to this news (বর্তমান)