• মাঝরাতেও মন্দির সংলগ্ন চত্বরে বিশেষ অভিযান চালাবে পুলিস
    বর্তমান | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বেহালা, ঠাকুরপুকুর, সরশুনা জুড়ে দুষ্কৃতীদের টার্গেট একের পর এক মন্দির। বিগ্রহের গা থেকে সোনা-রুপোর গয়না, প্রণামী বাক্স থেকে টাকা হাতানোই তাদের লক্ষ্য। সম্প্রতি ডোমজুড় থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। তাকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। গত দেড় মাসে ওই এলাকায় ১২টি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সরশুনা, ঠাকুরপুকুর, পর্ণশ্রীতে মন্দির এলাকায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করল পুলিস। রাতের দিকে বিশেষ বাহিনী টহল দেবে মন্দির সংলগ্ন চত্বরে। চলতি মাস থেকেই এই বিশেষ অভিযান শুরু হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। 

    কলকাতা পুলিসের দক্ষিণ-পশ্চিম ডিভিশন জানিয়েছে, ডোমজুড় থেকে বাইকে করে এসে মন্দিরে মন্দিরে হানা দিয়ে প্রণামী বাক্সের টাকা হাতিয়ে নিত অভিযুক্ত। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা গিয়েছে, রাত ১টা থেকে ৩টের মধ্যে চুরি গিয়েছে প্রণামী বাক্সের টাকা। সেকারণে রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহলদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন অফিসারের নেতৃত্বে বিশেষ টিম মোটর সাইকেলে চেপে নজর রাখবেন এলাকার মন্দিরগুলিতে। পুলিসের এক কর্তা জানিয়েছেন, এলাকার মন্দির কমিটিগুলির সঙ্গে কথা বলছেন স্থানীয় থানার আধিকারিকরা। তদন্তে দেখা গিয়েছে, যেসব মন্দির থেকে প্রণামী বাক্সের টাকা চুরি গিয়েছে, সেসব জায়গায় সিসি ক্যামেরা ছিল না। মন্দির কমিটিগুলিকে ক্যামেরা বসানোর পরামর্শ দিয়েছে পুলিস। শুধুমাত্র জাগরণী ক্লাব সংলগ্ন কালীমন্দিরে তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। সেই ফুটেজের মাধ্যমে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। 

    উল্লেখ্য, কালীমন্দিরে প্রণামী বাক্সটি ছিল গেটের ঠিক ভিতরে। বাইরে থেকে তার নাগাল পাওয়া সহজ। তাই মন্দির কমিটির সদস্যরা ওই প্রণামী বাক্সের সঙ্গে একটি বৈদ্যুতিক অ্যালার্ম সিস্টেম ইনস্টল করেছিলেন। তালা খুললে বা ভাঙার চেষ্টা হলেই আওয়াজ হবে অ্যালার্মে। কিন্তু, চুরির রাতে সেই অ্যালার্মের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ইলেকট্রিক বোর্ডের ওই পয়েন্টে স্ট্যান্ড ফ্যান লাগিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন একজন সেবায়েত। সেই সুযোগে প্রণামী বাক্সের তালা ভেঙে টাকা নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য মন্দির কমিটিকে আবেদন জানিয়েছে পুলিস। 
  • Link to this news (বর্তমান)