• ওয়াকফ ইস্যু: অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার ছিল ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি। এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুলল শীর্ষ আদালত। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বৈধতা নিয়ে একাধিক আবেদনের শুনানিতে কোনও অন্তর্বর্তী রায় বা নির্দেশ না দিয়ে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশ জুড়ে বিশেষত পশ্চিমবাংলায় ওয়াকফ সংশোধনী আইন মুসলিম স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে বড়সড় আন্দোলনের পথে হেঁটেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ। বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে বহু জেলায়। নয়া ওয়াকফ আইনের বিরোধ করে মামলা করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। কেন্দ্রীয় সরকারের আনা ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে ৭২টি পিটিশন জমা পড়েছিল। শুধুমাত্র ইসলামিক সংগঠন নয় দেশ জুড়ে একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফেও মামলা দায়ের হয়েছে। তৃণমূল, সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, জেডিইউ, ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ-সহ একাধিক দল রয়েছে এই পিটিশনকারীদের মধ্যে। সেই মামলাগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য থাকলে মুসলিমদের ধর্মপালনের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে।

    তৃণমূল কংগ্রেস এমপি মহুয়া মৈত্র সহ ভারতের বিভিন্ন কোণা থেকে আদালতে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগড় এবং অসম এই আইনকে সমর্থন করেছে আদালতে।

    বুধবার সেই মামলার শুনানি প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে উঠলে কোনও রায় না দিয়ে ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে। রায় না দিলেও এদিন বিচারপতিদের বেশ উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায় ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় দেশ জুড়ে ঘটে হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ে।
    প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি বিষয় খুবই উদ্বেগজনক আর তা হল হিংসা। সেই ইস্যুটিও আদালতের নজরে এসেছে এবং আমরা সিদ্ধান্ত নেব। সলিসিটার জেনারেল এসজি মেহতা তাঁর সওয়াল পর্বে জানিয়েছেন, অশান্তি তৈরি করে চাপ সৃষ্টি করা কোনও কৌশল হতে পারে না।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)