২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কাছাকাছি গিয়েও সাফল্য অধরা ছিল। ২০২৪- ২০২৫ অর্থ বর্ষে এসেছে কাঙ্খিত সাফল্য। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দেওয়া টাকা খরচের নিরিখে রাজ্যে প্রথম স্থান দখল করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে মোট ২৬২ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে এই জেলায়। রাজ্যের ২২টি জেলাকে পিছনে ফেলে এমন সাফল্যে খুশি জেলার প্রশাসনিক মহল।
গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে পানীয় জল সরবরাহ, কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণ, কংক্রিটের রাস্তা, কালভার্ট, নিকাশী নির্মাণ-সহ বহু কাজ হয়েছে। জেলার ২৫টি ব্লক এলাকায় হয়েছে বিপুল উন্নয়ন যজ্ঞ। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দেওয়া টাকা প্রায় ১০০ শতাংশ খরচ করে নজির গড়েছে।
জেলা স্তরে তথ্যভিত্তিক মূল্যায়ণে মহিষাদল, চণ্ডীপুর, নন্দীগ্রাম-২, ময়না, পটাশপুর-১, এগরা-১ এবং ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি অধীন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সবথেকে এগিয়ে। গ্রাম উন্নয়নে জেলার অন্যান্য পঞ্চায়েত সমিতির কেউ ৯৫ শতাংশ, কেউ বা ৯৭ শতাংশ খরচ করেছে। সামগ্রিকভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ব্যয়িত অর্থের সূচক দাঁড়িয়েছে ৯১ শতাংশে। যা অন্যান্য জেলার থেকে সর্বাধিক।
জেলা পঞ্চায়েত এবং গ্রাম উন্নয়ন আধিকারিক দেবদুলাল বিশ্বাস বলেন, ‘জেলার ২৫টি ব্লক জুড়ে নিবিড় উন্নয়নের কাজে আমরা বিশেষ জোর দিয়েছিলাম। জেলা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মী, আধিকারিকদের সামগ্রিক চেষ্টায় এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে । এই সাফল্য ধরে রাখতে পারলে আরো ভালো লাগবে।’
এ প্রসঙ্গে জেলার পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা শাসক অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে রাজ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাফল্যের মূল কারিগর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী। তিনি বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক, মহাকুমা কর্মী আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক কাজের বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনা, পর্যালোচনা করেছেন। এই সাফল্যের পিছনে জেলাশাসকের তদারকি বড় ভূমিকা পালন করেছে।’
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন এই সাফল্য সরকারি কর্মী আধিকারিকদের বড় কৃতিত্ব বলে মনে করছে। সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শ্যামল পট্টনায়ক বলেন, ‘সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার নীতিতে সরকারি কর্মচারীরা বিশ্বাসী। সেই পথেই পূর্ব মেদিনীপুরের সাফল্য এসেছে। সরকারি কর্মী, আধিকারিকদের কাছে এটি বড় পুরস্কার।’