এই সময়: আর গ্রিন লাইন–১ এবং গ্রিন লাইন–২ নয়! এ বার শুধুই গ্রিন লাইন। মেট্রোর রেক নিরবচ্ছিন্ন ভাবে চলবে হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর–ফাইভ পর্যন্ত। কিন্তু কবে থেকে? সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছেন না কলকাতা মেট্রোর কর্তারা। তবে ইতিমধ্যেই এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ কি না সে বিষয়ে রাজ্য দমকল বিভাগের শংসাপত্র হাতে পেয়েছে মেট্রো। এখন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির (সিআরএস) প্রতিনিধিদের পরীক্ষায় আসার অপেক্ষা। তবে তাঁদের আসার আগে দমকলের ছাড়পত্রটা ছিল আবশ্যিক। সেটা হাতে এসে গিয়েছে।
বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনেই গ্রিন লাইনের অখণ্ড পরিষেবা চালু হবে বলে মার্চ থেকে জল্পনা ছড়াচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু পয়লা বৈশাখে চালু হয়নি গ্রিন লাইনের নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা। হওয়ার কথাও নয়। বাংলা নববর্ষের মাত্র দু’দিন আগে শনিবার এসপ্ল্যানেড–শিয়ালদহ অংশে সুড়ঙ্গের অগ্নি–নিরাপত্তার পরীক্ষা নিয়েছে দমকল।
কলকাতা মেট্রোর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাজ্য দমকল বিভাগের কর্তাদের উপস্থিতিতে ‘ফায়ার টেস্ট’–এ সন্তোষজনক ফল পেলে তবেই দমকল বিভাগ শংসাপত্র ইস্যু করে। ফায়ার টেস্টে পাশ করার পরে রাজ্য দমকল বিভাগের শংসাপত্র হাতে নিয়ে তবেই সিআরএসকে পরিদর্শনের জন্য ডাকতে হয়। শনিবার ওই পরীক্ষা হওয়ার পরে পয়লা বৈশাখের আগে সময় ছিল মাত্র দু’দিন। এর মধ্যে একটা ছিল রবিবার — ছুটির দিন। সুতরাং এত দ্রুত সিআরএস আসার প্রশ্নই ওঠে না।
তা হলে কবে হবে বহু প্রতীক্ষিত ওই পরিদর্শন? এখনও পর্যন্ত দিনক্ষণ সম্পর্কে নিশ্চিত নন মেট্রোর কর্তারা। জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেলের অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। সব জায়গাতেই পরিদর্শনে যেতে হচ্ছে সিআরএস কর্তাদের। তাই সময়ের অভাবেই কলকাতায় আসতে পারছেন না তাঁরা। আশা করা হচ্ছে একবার পরিদর্শনের কাজটি সারা হলেই হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর–ফাইভে নিবচ্ছিন্ন মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।