• 'বাঙালি হিন্দুদের জন্যে হুমকি মমতা', ওয়াকফ হিংসার আবহে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে হিংসা-বিতর্কের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন। এদিকে মমতা দাবি করেছিলেন, বাংলায় ওয়াকফ আইন কার্যকর করতে দেবেন না। এই আবহে ব্যঙ্গের সুরে তিনি প্রশ্ন তোলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সংবিধানের ঊর্ধ্বে, এই অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে?


    ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, 'রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তারা সম্প্রদায়কে বিভক্ত করার জন্য কাজ করছে। বাঙালি হিন্দুরা এখন গৃহহীন, ত্রাণ শিবিরে খিচুড়ি খাচ্ছে। তাদের দোষ কী?'


    এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনাকে 'পূর্বপরিকল্পিত' বলে বর্ণনা করেন ১৬ এপ্রিল। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে বিএসএফ, কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিজেপি এর সাথে জড়িত ছিল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীদের অনুপ্রবেশ করতে নাকি সাহায্য করেছিল বিএসএফ। মিঠুন চক্রবর্তী মমতার সেই বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন। ভারতের সংসদে পাস হওয়া আইন কার্যকর না করার ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কে দিয়েছে? তিনি শুধু মুখ্যমন্ত্রী, সংবিধানের ঊর্ধ্বে নন।

    উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ-এপ্রিলে বাংলায় ২৯৪টি আসনের জন্য বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আবহে এখন থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর তীব্র হচ্ছে রাজ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে ওয়াকফ আইন, সাম্প্রদায়িক হিংসা ও শাসন নিয়ে মমতা সরকারকে ঘিরতে চাইছে বিজেপি। এই আবহে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানান মিঠুন। তিনি দাবি করেন যে হিন্দু সম্প্রদায় এখন বাংলায় একজোট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরিকল্পনাকেও নিশানা করে মিঠুন বলেন, 'এখন কিছুই তাদের বাঁচাতে পারবে না, হিন্দুরা তাদের খেলা বুঝতে পেরেছে।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)