• দিঘায় জগন্নাথধাম হলেও ‘‌খাজা’‌ মিলবে না, বিকল্প বাংলার মিষ্টির কথা জানালেন মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • পুরীতে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে স্বর্গদ্বারের কাছে এসে ‘‌খাজা’‌–সহ অন্যান্য মিষ্টি কিনতে দেখা যায় পর্যটকদের। তবে মূল ‘‌খাজা’‌ মিষ্টিই এখানে বেশি বিকোয়। যা নিয়ে আসা যায় পরিবারের সদস্য, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবদের জন্য। কিন্তু দিঘায় জগন্নাথধাম তৈরি হলেও ‘‌খাজা’‌ মিলবে না। আগামী ৩০ এপ্রিল দিঘায় উদ্বোধন হবে জগন্নাথ ধামের। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। সুতরাং চলতি মাসের ২০ তারিখের পর থেকেই পর্যটকদের ভিড় বাড়বে এই মন্দির দেখা এবং পুজো দেওয়ার জন্য। তাঁরা ‘‌খাজা’‌ পাবেন না। যদিও পুরীর মন্দিরের মহাপ্রসাদ বলা হয় ‘‌খাজা’‌কে।

    পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় যে জগন্নাথধাম হচ্ছে তার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। এখন সেখানে শেষ কিছু কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই একবার মুখ্যমন্ত্রী এখানকার কাজ ঘুরে দেখে যান কিছুদিন আগে। আর গতকাল নবান্নতে বৈঠক করেন সব দফতরের সঙ্গে। দায়িত্ব ভাগ করে দেন তিনি মন্ত্রীদের মধ্যে। পর্যটক থেকে শুরু করে ভিভিআইপি যাঁরা সেখানে যাবেন ৩০ তারিখ তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্যই বৈঠক করেন তিনি। আর তখনই জানিয়ে দেন, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পাওয়া যাবে কালীঘাটের বিখ্যাত ‘‌প্যাঁড়া’‌ এবং বাংলার অন্যতম মিষ্টি ‘‌গজা’‌।


    কেন খাজার পরিবর্তে প্যাঁড়া, গজা বিক্রি করা হবে?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত রাজেশ দৈতাপতি জানান, জগন্নাথের ভোগের পর আগে দক্ষিণাকালীকে তা সমর্পণ করা হয়, তারপরে মহাপ্রসাদ হয়। আর তখনই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌আমাদের বাংলায় রীতি অনুযায়ী কালীঘাটের প্যাঁড়া আমরা দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দেব। পুরীর খাজা যেরকম শুকনো মিষ্টি বলে মানুষ প্রিয়জনদের জন্য নিয়ে যেতে পারেন তেমনই আমরা সেরকম প্যাঁড়ার সঙ্গে বাংলার শুকনো মিষ্টি হিসেবে গজা রাখব। যাতে এই শুকনো মিষ্টি মানুষ নিয়ে যেতে পারেন।’‌

    কালীঘাটের ‘‌প্যাঁড়া’‌ এবং ‘‌গজা’‌ মিষ্টি বাংলায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। পুজোপার্বণে তা মানুষ কিনে থাকেন। তাই এই দুটি মিষ্টিকেই দিঘার জগন্নাথধামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল। এই মিষ্টি দুটিই আগামী দিনে অনলাইনে পুজো দিয়ে মেলার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‌আগে সিস্টেমগুলি শুরু হোক, তারপরে কোথায় কী ফাঁকফোকর আছে সেটা ধরা পড়বে। আর তখন বাদ বাকিটা করা যাবে। অনলাইনে যাতে করা যায় সেটাও আমরা দেখব। যেমন গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রে করা হয়। পুরীর কারিগরদের এনে দিঘাতেও জগন্নাথদেবের জন্য ধ্বজার স্টল তৈরি করা হবে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)