• দায়িত্বে এক অস্থায়ী শিক্ষক, বন্ধ মিড ডে মিল
    এই সময় | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • নীলাঞ্জন দাস, রায়গঞ্জ

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ার পরে একমাত্র অস্থায়ী কম্পিউটার শিক্ষকের কাঁধে গোটা বিদ্যালয়ের দায়িত্ব। তার জেরে গত ৯ এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিল। রায়গঞ্জের পাঁচভায়া এলাকার জগদীশপুর জুনিয়র হাইস্কুলের এই সমস্যায় ভুক্তভোগী ছাত্র–ছাত্রীরা।

    জানা গিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজিরুদ্দিন আহমেদ এবং গ্রুপ ডি কর্মী সঞ্জিত কুমার বর্মনের নাম চাকরি বাতিলের তালিকায় থাকায় তাঁরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না। সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়েছে বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কম্পিউটার শিক্ষক ভাস্কর ধারা–র ওপর। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২০৭। এই পরিস্থিতিতে একজন অস্থায়ী কম্পিউটার শিক্ষকের পক্ষে পঠনপাঠন থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ সামলানো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

    বিদ্যালয় সূত্রে খবর, মিড–ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী কেনার টাকা স্থানীয় মুদির দোকানে বকেয়া রয়েছে। পাশাপাশি, প্রতিদিনের তথ্য পোর্টালে আপডেট করার সিস্টেমও ঠিকমতো জানা নেই অস্থায়ী শিক্ষকের। সে কারণে ৯ তারিখ থেকে মিড–ডে মিল বন্ধ রয়েছে ওই বিদ্যালয়ে। এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে বুধবার বিদ্যালয় পরিদর্শক সাবির আহমেদের কাছে গিয়ে পুরো বিষয়টি জানান অস্থায়ী শিক্ষক ভাস্কর ধারা।

    ভাস্কর বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ার পরে কিছুদিন আমি কোনও রকমে মিড–ডে মিলের কাজ চালিয়েছিলাম ঠিকই। তবে স্থানীয় মুদির দোকানে টাকা বাকি রয়েছে, আর আপডেট করার সিস্টেমটাও আমি জানি না। ওই সিস্টেমে ঠিক ভাবে আপডেট না করলে সরকারি টাকা পাওয়া যায় না, নিজের পকেট থেকে দিতে হয়। তাও যদি আমি স্থায়ী শিক্ষক হতাম বিষয়টা অন্যরকম হতো। আমার স্বল্প বেতনে আমি কী ভাবে এটি চালু রাখব? আমি স্কুল পরিদর্শককে সবকিছু জানিয়েছি। কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্যা মিটে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।’

    বিদ্যালয়ের ছাত্রী সায়েদা খাতুনের কথায়, ‘স্কুলে একজন স্যর আমাদের ক্লাস নেন। হেডস্যর স্কুলে আসেন না, তাই বেশ কিছুদিন ধরে মিড–ডে মিল বন্ধ রয়েছে। আমরা চাই দ্রুত যেন এই সমস্যা মিটে যায়।’

    অন্য এক ছাত্র শাহবাজ আলমের বক্তব্য, ‘হেডস্যর চলে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকেই মিড–ডে মিল বন্ধ। একজন স্যরের পক্ষে তা চালানো কঠিন। আমরা চাই স্কুলে যেন আগের মতো পরিবেশ ফিরে আসে।’

    বিদ্যালয় পরিদর্শক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সমস্যার সমাধান করা হবে।

  • Link to this news (এই সময়)