• ‘সম্মানের সঙ্গে পুনর্বহালের জন্য লড়াই...’, সুপ্রিম নির্দেশের পরেও হাসি নেই চাকরিহারাদের মুখে
    এই সময় | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • মিলল সাময়িক স্বস্তি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকদের আপাতত স্কুলে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। ১৪ দিন নাওয়া-খাওয়া ভুলে অধিকারের লড়াই করছিলেন শিক্ষকেরা। নিজেদের চাকরি ফিরে পেতে নেমেছিলেন রাস্তায়। মার খেতে হয়েছে পুলিশের। অনশনও করেছেন তিন জন শিক্ষক। আজ রায়দানের পর কী বলছেন তাঁরা?

    চাকরিহারা শিক্ষকরা বলছেন, এই রায় আপাতত স্বস্তি মিলেছে ঠিকই, কিন্তু তাঁদের চাকরিতে সম্মানের সঙ্গে পুনর্বহালের জন্য লড়াই চালু থাকবে। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, যে ২২ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের সকলের OMR শিট-এর স্ক্যান কপি প্রকাশ করলেই জানা যাবে, কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য। কবে সেই তালিকা প্রকাশ হবে, তার অপেক্ষাতেই রয়েছেন সকলে। পাশাপাশি, নতুন নিয়োগের জন্য যে পরীক্ষা হওয়ার কথা জানানো হয়েছে, সেই পরীক্ষায় বসতে রাজি নন চাকরিহারাদের একাংশ। 

    চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক প্রতাপ রায় চৌধুরি বলেন, ‘আজকের এই রায় যুক্তিসঙ্গতভাবে আমাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করার কোনও জায়গা নেই। কারণ, বৃহত্তর স্বার্থে আবেদন করা হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। আমাদের স্কুলে ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের চাকরি বাতিল হয়ে হয়েছে। এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আগামী দিনে আমরা রিভিউ পিটিশনে যাব। তবে আমরা পরীক্ষা দেব না, কর্তৃপক্ষ বলে দিক আমরা কী অন্যায় করেছি।’

    চাকরিহারা ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের প্রশ্ন , প্রশাসনের দায় আমরা কেন নেব? বৃহস্পতিবারের রায়ের পরেও তাঁরা জানাচ্ছেন, সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করা হবে। কিউরেটিভ পিটিশন বা সাংবিধানিক বেঞ্চে যাওয়ার কথাও ভেবে রাখা হয়েছে। সকলের OMR প্রকাশ্যে এনে রি-প্যানেল করে ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ হোক, বলেই দাবি করছেন তাঁরা। শ্রীকৃষ্ণপুর হাই স্কুলের শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহা বলেন, ‘আমরা এই রায়ে খুশি নয়। এটা সরকারের আবেদন যাতে পঠনপাঠন চালু থাকে। সেই জন্যে আমরা স্কুলে যাই। কিন্তু পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটাও বলা হয়েছে। ফলত, এটা সাময়িক একটা প্রক্রিয়া। বেতন চলবে। আমাদের সসম্মানে ফিরতে গেলে রিভিউতেই ফিরতে হবে।’ চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডলও বলেন একই কথা। তাঁর বক্তব্য, ‘রিভিউ-এর জন্য লড়তে হবে এ বার। যা যা করণীয় করতে হবে।’

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে ফেরত যাওয়ার কথা বলা হলেও শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে কিছু নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে একই বর্ষের শিক্ষাকর্মী পরীক্ষার্থীদের কেন ফেরানো হলো না, তা নিয়ে হতাশ ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকরা।

  • Link to this news (এই সময়)