দিল্লিতে শেষ হল চাকরিহারাদের অবস্থান, কলকাতার পথে রওনা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর করতে বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলের চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। এই অবস্থান শুরু হয় দুপুর ২টো থেকে। শেষ হয় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। এই প্রতিবাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং সাংসদদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন চাকরিহারারা। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকলে যেন মানবিকভাবে তাঁদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখেন সেই আর্জি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ দিন আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে ইংরাজি ও হিন্দিতে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান লেখা ছিল।
বুধবার মোট ৭০ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী অবস্থানে বসেছিলেন। তাঁদের আহ্বায়ক চিন্ময় মণ্ডল জানিয়েছেন, রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। কারণ, যারা দুর্নীতি করে চাকরি পেল আর যারা দুর্নীতি না করে চাকরি পেল, তাঁদের প্রত্যেককে এক করে দেওয়া হচ্ছে। চাকরিহারাদের একাংশ এখনও আশাবাদী, রিভিউ সাবমিশনের মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের চাকরি পুনরায় ফিরে পাবেন। তবে শুধুমাত্র আইনি পথেই পড়ে থাকতে চাইছেন না আন্দোলনকারীরা। আইনি পথে লড়াইয়ের পাশাপাশি সমান্তরালভাবে তাঁদের আন্দোলনও চলবে বলে জানিয়েছেন। গোটা দেশের মানুষকে তাঁদের আন্দোলনের বিষয়ে জানাতে চান তাঁরা। তাই আন্দোলনকে শুধুমাত্র রাজ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের রাজধানী পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে কলকাতার ধর্মতলা থেকে বাসে চেপে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ৬০ জন চাকরিহারা। বাকিরা ট্রেনে চেপে দিল্লিতে পৌঁছান। বুধবার ভোর ৪ টে নাগাদ দিল্লিতে পৌঁছায় বাসটি। পথে সাধারণ মানুষকে দাঁড় করিয়ে নিজেদের আন্দোলনের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি হিন্দিতে লেখা লিফলেটও বিলি করা হয়েছে। সকলের কাছে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন চাকরিহারারা। বুধবার সকালে দিল্লিতে পৌঁছে তাঁরা কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে যন্তরমন্তরে চলে যান। সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। বুধবার গভীর রাতে বাসে চেপে ফের কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা তাঁদের। দিল্লি থেকে ফিরে তাঁরা ফের ধর্মতলায় চাকরিহারাদের অবস্থানে যোগদান করবেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের করা ক্লারিফিকেশন পিটিশনের শুনানি রয়েছে। এই শুনানির জন্য দিল্লিতে কয়েকজন চাকরিহারার থেকে যাওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, এই শুনানিতেই পরিষ্কার হবে, চলতি মাস থেকে বাতিল হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা বেতন পাবেন কি না।