বরুন সেনগুপ্ত: কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে ভুয়ো কাস্টমস অফিসার গ্রেফতার কাচড়াপাড়া থেকে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে নীলবাতি লাগানো এক্সিইউভি গাড়ি এবং উদ্ধার একটি পিস্তল।
ফেক কাস্টমস অফিসার সেজে লক্ষ লক্ষ টাকা কাচড়াপাড়া জোনপুর এলাকা -সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে হাতিয়ে প্রতারণা মিহির ঘোষ নামে এক ব্যক্তির। আজ তাকে গ্রেফতার করল জেঠিয়া থানার পুলিস। কাউকে চাকরি পাইয়ে দেবার নাম করে আবার কাউকে কাস্টমস অফিসারের সুবাদে কমদামে সোনা বিক্রির নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে বলে কাচড়াপাড়া জোনপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ। পুলিস সুত্রের খবর এই প্রতারক বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
কাস্টমস অফিসার সেজে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠছে। কাঁচড়াপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মিহির ঘোষকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নীলবাতি লাগানো গাড়ি, এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয় অস্ত্র। চাকরি দেবার নাম করেও টাকা হাতিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে। প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত মিহির ঘোষ এই কাজ করে যাচ্ছিল। বারাসাত থানায় এর আগে একবার তাঁর খোঁজ করছিল, বিভিন্ন জায়গায় সে বাড়ি পরিবর্তন করেছিল বলেও জানা যাচ্ছে। পরিবারকে অন্য জায়গায় রেখে মিহির এই ধরণের পেরতারণা করছিল। কখনও কাউকে চাকরি দেওয়ার নাম করে কখনও কাস্টমস অফিসার সেজে সোনা অল্প দামে দিয়ে দেব বলে চম্পট দেয় মিহির।
মিহির এইভাবেই সকলের থেকে টাকা হাতিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে। বারাসাত থেকে একজন ব্যক্তি জানতে পারে, তার এইসব কাজার কথা এবং এরপরই সে হাতেনাতে ধরে ফেলে তাকে। ঘটনাস্থলে পুলিসকে খবর দেওয়া হলে পুলিস চলে আসে। জানা যাচ্ছে, শুধু একজনের থেকে না বহু জনের থেকে এমন টাকা হাতিয়েছে সে। তার কাছ থেকে প্রচুর টাকা সহ একটি পিস্তলও পাওয়া গেছে।
এখন দেখা হচ্ছে ওই পিস্তল ও নীলবাতির বাড়ি সে কোথা থেকে পেয়েছে। এতদিন কাস্টমস অফিসার পরিচয়ে সে সকলের থেকে টাকা হাতিয়েছে, কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব হল সেটাই খতিয়ে দেখছে পুলিস। তাকে আপাতত গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউকে কম দামে সোনা দেওয়ার নামে, কাউকে বা বাড়ি দেওয়ার নামে, কাউকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিপুল পরিমাণ টাকা সে হাতিয়ে নিয়েছে। সে একা এই কাজ করেছে নাকি তার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। জানা যাচ্ছে তার পরিবার তার সঙ্গে থাকতো না, তারা থাকেন গ্রামের বাড়ি।
এলাকার মানুষের দাবি সবাইকেই চাকরি দেব, বাড়ি দেব, সোনা দেব কম দামে এই বলে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলতো। এখন জানা যাচ্ছে, তার গাড়িটাও ভাড়ার গাড়ি। আর সে নিজেই ফেক, আপাদমস্তক জালি।