দিব্যেন্দু সরকার: আট মাস আগে বাড়ির তরতাজা ছেলে চলে গিয়েছিল মর্মান্তিক ভাবে। কলেজ থেকে ফিরে চুপচাপ ছিল দুদিন। তারপরে একদিন ঘরে পাওয়া গিয়েছিল শান্তুনু নন্দীর ঝুলন্ত দেহ। সেই শোক সামলে নিয়ে চলছিল গোট পরিবার। শেষপর্যন্ত ঘটে গেল আরও মর্মান্তিক ঘটনা।
বৃহস্পতিবার হুগলির গোঘাটের বেঙ্গাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সালঝাড় গ্রামে একই পরিবারের ৩ জনের দেহ উদ্ধার হল ঘর থেকে। প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত। শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ৮ মাস আগে কাশীনাথ নন্দীর ছেলে শান্তনু মারা যায়। তারপর থেকেই পরিবারটি পুত্র শোকে ভুগছিল। কারও সঙ্গে সেভাবে মিশত না।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ির গেট বন্ধ দেখে উঁকি ঝুঁকি দেয়। একজনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়ার পরেই গোঘাট থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস গিয়ে তিনটি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। পুলিস জানিয়েছে মৃতদের নাম অনিমা নন্দী (৭১) কাশিনাথ নন্দী (৫৫) মমতা নন্দী (৪৭) । পুলিস জানিয়েছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে মৃত্যুর কারণ কী। পুলিস তাদের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঠিকঠাক জানি না। কাশীনাথ আমার সহপাঠী ছিল। বাড়ির সবাই গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গিয়েছে। একমাত্র মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির একমাত্র ছেলে শান্তনু প্যারামেডিক্যালে পড়াশোনা করত অন্য জেলায়। আটমাস আগে সে বাড়িতে ফেরে। আর দুদিন পর সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়। কী কারণে ওই ঘটনা তা জানা যায়নি। তবে পুলিসের অনুমান কোনও অনলাইন গেমের ফাঁদে পড়ে এই ঘটনা হতে পারে।