সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমি এলিট ক্লাস নই। ভালো ইংরাজি বা হিন্দি বলতে পারি না।’ সাংবাদিকের প্রশ্নে অকপটে বলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, তিনি সমাজের তথাকথিত উপরতলার প্রতিনিধি নন। তিনি আমজনতার প্রতিনিধি। তিনি আর পাঁচজনের মতো সাধারণ।
একসময় বঙ্গ রাজনীতি সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের মতো মুখ্যমন্ত্রী দেখেছে। যারা তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত এবং এলিট ক্লাসে যাঁদের অবাধ বিচরণ ছিল। সে তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর মাটির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলতে পছন্দ করেন। তাঁর রাজনীতির ইউএসপিই হল, সাধারণের কথা, সাধারণভাবে, সাধারণ ভাষায় কথা বলা। তাতেই বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব খুঁজে পান। সেটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তি। মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার নিজের সেই সাধারণ হওয়ার বার্তা তুলে ধরলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা। মাঠেঘাটে নেমে রাজনীতি করে উঠে আসা নেত্রী। ক্ষমতার অলিন্দে থেকেও সেটা ভোলেননি তিনি। সেকারণেই মমতার রাজনীতিতে বরাবর সমাজের নিচুতলা গুরুত্ব পায়। সেকারণে সমালোচনা বা কটাক্ষও কম শুনতে হয় না মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর বাচনভঙ্গি নিয়ে, তাঁর ভাষার ব্যবহার নিয়ে, তাঁর ভাষার জ্ঞান নিয়ে, কম কথা হয় না। বিশেষ করে বামপন্থীদের মধ্যে মমতাকে নিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের ভাব বরাবর দৃশ্যমান। সম্ভবত এদিন সেই সব কটাক্ষের জবাব দিয়ে গেলেন মমতা। অকপটে স্পষ্ট ভাষায় বলে গেলেন, তিনি এলিট ক্লাস নন। ইংরাজি বা হিন্দি কোনও ভাষাতেই তিনি সাবলীল নন। আমজনতার মতো বাংলাতেই স্বচ্ছন্দ্য।