‘দাঙ্গা তৈরি করা হয় ক্রিমিনালদের দিয়ে’, আবার অমিত শাহকে তুলোধনা করলেন মমতা
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
মুর্শিদাবাদের অশান্তি হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনা নয়। এটা পুরোটাই হয়েছে ‘প্রি প্ল্যান্ড কমিউনাল রায়ট’ করার জন্য। আর গোটা ঘটনার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বিজেপির। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে এখানে কাজে লাগিয়ে এই হামলার ছক কষেছে তারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে এমনই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার করলেন। তবে তাঁর সাফ কথা, যারাই এই কাজের নেপথ্যে থাকুক না কেন কাউকে ছাড়া হবে না। আজ বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে আবারও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তুলোধনা করেন তিনি।
এদিকে অশান্তি এবং অস্থিরতা তৈরির ‘নীল নকশা’ যে বোনা হয়েছিল সেটার তথ্য হাতে এসেছে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কোনও এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে অশান্তি করা হয়েছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। এই বিষয়ে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘স্থানীয়রা ছাড়া আর কেউ যেন সেখানে গিয়ে অশান্তি না করেন সেটা আমি অনুরোধ করব। রাজ্যপালকে অনুরোধ করব সেখানে না যেতে। আমিও যেতে পারতাম। কিন্তু এখন মানুষের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা হচ্ছে। তাই যখন যাওয়ার সময় হবে ঠিক যাব। আর এখানে তো গোলমাল বাঁধানো হয়েছে।’
অন্যদিকে সীমান্ত পাহারা দিয়ে থাকে বিএসএফ। ওটা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। তাহলে কেমন করে লোক ঢুকল? কে অনুমতি দিয়েছে? বিজেপিই বাইরের থেকে লোক এনে গণ্ডগোল পাকিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে মুখ্যমন্ত্রী। আর আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘ত্রিপুরা, অসম এবং মণিপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যেতে বলুন। সেটা আমাদের হাতে নয়। এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসার পর বহিরাগতদের তথ্য দিতে চায় না আমাদের অফিসারদের। ৫ কিমি থেকে ৫০ কিমি করা হয়েছে বিএসএফের এলাকা। কেন হবে এটা? বিরোধিতা আগেও করেছি এবং করে যাব।’
তাছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ‘কালীদাস’–এর ভূমিকার সঙ্গে একসারিতে একদিন আগেই তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাম আর রহিমের মধ্যে বিভেদ ঘটিয়ে ২০২৬ সালের ভোটযন্ত্রে বিজেপি ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। আর আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘গরু দেখে বিএসএফ। কয়লা দেখে সিআইএসএফ। আমাদের কেন জড়াচ্ছেন? দাঙ্গা তৈরি করা হয় ক্রিমিনালদের দিয়ে। এই সমাজে যেমন ভাল মানুষ আছে তেমন ভাল মানুষের মুখোশধারী নেতা–নেত্রীরাও আছেন। শান্তিতে থাকুন। আইনের উপর ভরসা রাখুন। এজেন্সিকে দিয়ে যিনি গণ্ডগোল করান তাঁর নাম আগেই বলে দিয়েছি।’