পাড়ার ছেলে ভাঙল সিসি ক্যামেরা!মুর্শিদাবাদ হিংসায় পুলিশের জালে বড় চক্রী, কে সে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ এপ্রিল ২০২৫
মুর্শিদাবাদে হিংসার জেরে খুন হয়েছিলেন বাবা ও ছেলে। এবার পুলিশ সেই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল।
সেই সঙ্গেই এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার জানিয়েছেন,৮৫জন ঘরছাড়া ফিরে এসেছেন। ঘরছাড়াদের ফেরানোর সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সামসেরগঞ্জের পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে।
পুলিশ জানিয়েছে জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনার গ্রেফতার কার হল আরও একজনকে। এনজামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে এনজামুলের পেছনে আরও বড় মাথা রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এডিজি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি স্থানীয় বাসিন্দা। জাফরাবাদের পাশের পাড়ার বাসিন্দা হল এই এনজামুল হক। পেশায় মিস্ত্রি।
পুলিশের দাবি, কার্যত পাড়ার ছেলেই বলা যায় তাকে। সে ছিল এই অশান্তির ঘটনার অন্যতম চক্রী। পুলিশের কাছে যাতে প্রমাণ না থাকে সেকারণে যে ব্যক্তি সিসি ক্যামেরা ভাঙার ক্ষেত্রে মুখ্য় ভূমিকা নিয়েছিল সে হল এই এনজামুল। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এডিজি জানিয়েছেন, কোথাও গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল কি না সেটা দেখা হবে। কোথাও বহিরাগত যোগ রয়েছে কি না তা দেখা হবে।
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ জানিয়েছেন, যে বা যারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, খুনের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। প্রত্যেককে আমরা ধরব। চার্জশিট দিয়ে তাদের শাস্তি যাতে সুনিশ্চিত হয় সেটা করব। তদন্তের ব্যাপার। হিংসার ঘটনার পরে অনেকে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্য়ে ৮৫জন ফিরে এসেছেন। এখনও কয়েকজনের ফিরে আসার কথা। যারা চলে গিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। বলা হয়েছে আপনারা ফিরে আসুন। আপনাদের পুলিশ এসকর্ট দিয়ে নিয়ে আসা হবে। নিরাপদে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে যাতে তারা জীবনযাপন করতে পারেন তার সব ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্য পুলিশের ক্যাম্প রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীও রয়েছে। আজ কালের মধ্য়ে ঘরছাড়ারা ফিরে আসবেন। সামগ্রিকভাবে সামসেরগঞ্জে পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে। নতুন করে কোনও অশান্তির খবর নেই। দোকানপাট ৭০ শতাংশ খুলছে। বাকি আজ কাল পরশুর মধ্য়ে দোকানপাট পুরো খুলে যাবে।
এনজামুল হক সম্পর্কে এডিজি জানিয়েছেন, প্রমাণ লোপাটের জন্য সে স্থানীয় সিসি টিভি কানেকশনকে নষ্ট করে দিয়েছিল। যাতে পুুলিশ প্রমাণ না পায়। যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত খুনের ঘটনায় প্রত্যেককে ধরা হবে।