এবার শালবনিতে জিন্দাল পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস হতে চলেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়। সেখানের মঞ্চ থেকে শালবনিতে দু’টি ৮০০ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দাল। শালবনিতে জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানা হয়েছে। তার পরেও বেশ কিছু পরিমাণ জমি পড়ে রয়েছে। সেখানেই জিন্দালদের পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ে উঠবে। এবার সেই পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস করতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সে কথা নবান্ন থেকে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে শালবনিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার বিষয়টি নিয়ে এখন জেলা পুলিশ–প্রশাসনের কর্তারা ভীষণ ব্যস্ত। আজ মুখ্যমন্ত্রী নিজে তারিখ ঘোষণা করে দিলে তা সরকারিভাবে স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে জেএলডব্লিউ সিমেন্ট কারখানার অফিসার দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় জানান, আগামী ২১ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শালবনি আসছেন। আর সেটাতেই আজ সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন থেকে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শালবনিতে হচ্ছে ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট। সেখানে যাব ২১ তারিখ। শিলান্যাস করব। ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে জিন্দাল। সাগরদিঘি, বক্রেশ্বর এবং দুর্গাপুর সাঁওতালডিহিতে পাওয়ার প্ল্যান্ট হচ্ছে বাংলাজুড়ে। এগুলি হলে আগামী প্রজন্মের স্বার্থে বিদ্যুতের অভাব হবে না। কর্মসংস্থান হবে।’
অন্যদিকে ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর জিন্দালদের প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তারপরই অশান্ত হয়ে ওঠে জঙ্গলমহল। জিন্দালরা তখন ইস্পাত কারখানার পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়। তারপর দেড় দশক কেটে গিয়েছে। ২০১৮ সালে জিন্দালদের সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার বেশ কয়েকটি কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘২২ তারিখ গড়বেতায় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট উদ্বোধন করবো। ওটা গোয়ালতোড়ে হচ্ছে। জার্মান সংস্থা ৮০ শতাংশ টাকা খরচ করছে। আমরা ২০ শতাংশ খরচ করছি। ২২ তারিখে ২৫টি দমকলের উদ্বোধন করব। ১৫টি দিঘায় পাঠিয়ে দেব। কাটোয়ায় ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন হবে।’
তাছাড়া ইস্পাত কারখানা গড়তে ৪ হাজারের বেশি একর জমি জিন্দালরা নিয়েছিল। তার মধ্যে ৮৪৯ একর জমিতে সিমেন্ট কারখানা তৈরি হয়েছে। বাকি জমি পড়ে রয়েছে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন এবং সঙ্গে থাকছেন মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে অফিসাররা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘এখানে দেব, জুন ওদের আসতে বলেছি। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এবং দেউচা পাঁচামি উদ্বোধন সঠিক সময়ে করা হবে। আর এই পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ে উঠলে তা হবে, বিশ্ব এসেছে বাংলার ঘরে।’