মূলত পড়ুয়াদের কথা ভেবে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে স্কুলের অশিক্ষক কর্মীদের জন্য পুরোনো নির্দেশই বহাল রয়েছে। তাঁরা কেন ‘বঞ্চিত’ হচ্ছেন? প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিহারা গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মীরা। তবে তাঁদের জন্যেও সরকারের তরফে আইনের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নির্দেশের কারণে ‘আপাতত স্বস্তি’ মিলেছে বলেও উল্লেখ করেন মমতা। তবে এই নির্দেশ বহাল নয় এসএসসি ২০১৬-এর চাকরিহারা গ্ৰুপ সি, গ্ৰুপ ডি কর্মীদের জন্য। মমতা বলেন, ‘আমাকে আইনের পরামর্শ নিতে হবে। আপনারা এই চিন্তা না করে আমার উপর ছেড়ে দিন। আমাদের আইনজীবী দিল্লিতে রয়েছেন। ওঁরা ফিরলে আমরা আলোচনা করব।’ চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘তাড়াহুড়ো করে কারও কথায় প্ররোচনায় পা দেওয়ার দরকার নেই। নিশ্চয়ই আইনের সাহায্য পথ খুঁজে বার করব।’
এ দিন রায়ের পর এক চাকরিহারা গ্রুপ ডি কর্মী বলেন, ‘আমাদের কেন আলাদা করে দেখা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। আমরা তো প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই সঠিকভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। আমাদের জন্য কেন কিছু করা হলো না।’
তবে, অশিক্ষক কর্মী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উভয়ের জন্যে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘সমস্যা হলে সমাধান করতে সময় দিতে হয় কারও প্ররোচনায় পা দিয়ে লাভ নেই। সরকারের প্রতি প্রশাসনের প্রতি আইনের প্রতি ভরসা রাখুন বিশ্বাস রাখুন। নিশ্চয়ই কোনও না কোনও পথ আমরা খুঁজে বের করব। ধৈর্য ধরুন।’