বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নতুন রায় শোনার পর কিছুটা আশার আলো দেখছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে সাময়িক স্বস্তি মিললেও এখনও পুরোপুরি ধোঁয়াশা কাটেনি বলে জানাচ্ছে উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা কারা সেই নিয়ে একটা ধন্ধ তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রায় শোনার পর সে কথাই শোনা গেল উলুবেড়িয়া ও হাওড়ার বিভিন্ন স্কুলে।
কিছু দিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মী চাকরিহারা হয়েছিলেন। সেই রায়ের পর অন্যান্য স্কুলের পাশাপাশি চাকরি হারিয়েছেন হাওড়ায় পাঁচলার আজিম মোয়াজ্জম হাই স্কুলের চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এ বার বৃহস্পতিবার নতুন করে সুপ্রিম নির্দেশ শোনার পর সেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম সামসুদ্দিন কী জানালেন? তিনি বলেন, ‘এটা খুব ভালো খবর। অনেকটা সমস্যা কাটল। কিন্তু যোগ্য ও অযোগ্য তালিকা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না।’ তাই শিক্ষক সমস্যা এখনই মিটে যাবে না বলেই মনে করছেন এস এম সামসুদ্দিন।
অন্য দিকে, উলুবেড়িয়ার রঘুদেবপুর বেলকুলাই সি কে সি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকাও এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। সেখানকার প্রধান শিক্ষিকা পুনম ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্কুলের দুই শিক্ষক স্কুলে না আসায় পঠন পাঠনে সমস্যা হচ্ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কিছুটা আশা দেখছি। তবে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রকাশিত হচ্ছে, পর্যন্ত সমস্যা মিটবে না।’ অন্য দিকে, বাগনান ডিএমবি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উকিল কুমার হাঁসদাও এ বিষয়ে তাঁদের স্কুলের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমাদের বিদ্যালয়ে ছয় শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে আমাদের অনেক উপকার হবে। তবে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা যতক্ষণ না সামনে আসছে ততক্ষণ স্বস্তি মিলছে না। যদিও চাকরিহারা পাঁচজন শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন শনিবার তাঁরা বিদ্যালয়ে আসবেন।’
প্রসঙ্গত, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার জন্য আপাতত ‘টেন্টেড’ (অযোগ্য) তালিকায় নাম না থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে পড়াতে পারবেন।