‘এবার যোগ্যতা প্রমাণের পালা’, সুপ্রিম রায়ে স্বস্তির পর জানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা...
আজকাল | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
মিল্টন সেন
সুপ্রিম কোর্টের রায় কিছুটা হলেও মিলেছে স্বস্তি। এবার শিক্ষকদের যোগ্যতা প্রমাণ করার পালা। বৃহস্পতিবার এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশাল তিওয়ারি।
তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর শিক্ষকদের কাছে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে। অনেকের বয়সও অনেকটাই বেড়েছে। বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও, এটাই অনেকের কাছে শেষ সরকারি পরীক্ষা হতে চলেছে। তাই স্বাভাবিক কারণেই তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাবেন, পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন। তবে শিক্ষকতাকে ভালবাসার থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করাটাই তাঁদের কাছে এখন বেশি অগ্রাধিকার পাবে’।
তাঁর কথায়, ‘শিক্ষকদের অনেক ছুটি বাকি আছে। মেডিকেল লিভ আছে। সেগুলো ব্যবহার করে তাঁরা প্রস্তুতিতে মন দেবেন। একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজ, খাতা দেখা, ক্লাস নেওয়া সহ স্কুলের নানান অনুষ্ঠানে আর তাঁদের সক্রিয় ভাবে পাওয়া যাবে না’। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হওয়ায় একাধিক স্কুল চরম সমস্যায় পরেছিল।
সঙ্কটে পড়েছিল স্কুলের পঠনপাঠন। বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাই স্কুলে ২৩০০ পড়ুয়ার জন্য অঙ্ক এবং বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক দাঁড়িয়েছিল একজন করে। এছাড়াও স্কুলের ৪১ জন শিক্ষকের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের ১৫ জন শিক্ষক অনিশ্চিত হয়েছিলেন। অবস্থা সামাল দিতে স্কুলের তরফে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন করার কথা ভাবা হয়েছিল। এদিনের রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলল।
একইভাবে, সুপ্রিম কোর্টের রায় শুনে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর স্কুলের শিক্ষিকা পান্ডুয়ার বৈঁচিগ্রামের শিক্ষিকা সুমনা দাস। জানিয়েছেন, তিনি আর পরীক্ষা দিতে চান না, তিনি যোগ্য। একবার পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, আর পরীক্ষা দিতে চান না।