মুর্শিদাবাদের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে সওয়াল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, ‘মালদহ, মোথাবাড়ির পর মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, আমতলা – পর পর একই ঘটনা ঘটে চলেছে। গোটাটাই পরিকল্পিত আর এইসব ঘটনায় বাংলাদেশের যোগসূত্র রয়েছে।’ মুর্শিদাবাদে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজ্যে পুলিশের তদন্ত নিয়েও আদালতে সন্দেহ প্রকাশ করেন আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি হয়। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্যে সরকারের উচিত ছিল বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানানো, কিন্তু তা তারা করেনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যদি মনে করে তাহলে সরাসরি তারা এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিতেই পারে।’ এনআইএ-র আইনজীবী অরুণকুমার মাইতি জানান, এখনই তদন্ত হস্তান্তর না করে তাঁদের তরফে প্রাথমিক একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া যেতে পারে।
রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অনেকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিট ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রাজ্য পুলিশদের শীর্ষ আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। আগের চেয়ে পরিস্থিতি এখন অনেকেটাই স্বাভাবিক। এনআইএ তদন্তের কোনও প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মনে করছেন না।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এবং স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসের তিনজন সদস্য মিলে দেখতে পারেন, কারা ঘরে ফিরতে পারেননি। শান্তি রক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা রাজ্যের দায়িত্ব বলে জানিয়েছে আদালত।