অর্ণবাংশু নিয়োগী: 'পুলিসকে খুন করার জন্য এগিয়ে এসেছিল ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষ। লোহার রডের মতো মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে পুলিসে দিয়ে এগিয়ে আসছিল তারা'। মুর্শিদাবাদকাণ্ডে এবার হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য সরকার।
ঘটনাটি ঠিক কী? ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে লাগাতার অশান্তি। উত্তাল মুর্শিদাবাদ। ঘটনার NIA তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আজ, মামলাটির শুনানি হয় ডিভিশন বেঞ্চে। হাইকোর্টে নির্দেশ, 'কেউ কোনও উসকানিমূলক বক্তব্য় রাখবেন না'। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'মানুষকে ঘরে ফেরানোই প্রাথমিক উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। কারা ঘরে ফিরতে পারেনি, NHRC, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস দেখতে পারে'। এই মামলাতেই হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য।
মুর্শিদাবাদকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট
--
'পুলিসকে খুন করার জন্য এগিয়ে এসেছিল ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষ'
'লোহার রডের মতো মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে পুলিসে দিয়ে এগিয়ে আসছিল তারা'
'ভিড়ের মধ্যেই SDPO-র পিস্তল ছিনতাই করে নেওয়া হয়'
'পিস্তলে ১০ রাউন্ড গুলি ছিল'
'আসল উদ্দেশ্য ছিল পুলিসকে খুন করা'
বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, 'পুলিস, তার ব্য়র্থতার কাহিনী কলকাতা হাইকোর্টকে লিখে জানিয়েছে'। তাঁর দাবি, '৫ হাজার মানুষ যে আসছে, সেটা গোয়েন্দাদের জানানোর কথা ছিল আগে। ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল। আমরা ঘরছাড়া হিন্দু পরিবারগুলি নিয়ে রাজ্য পুলিসের ডিজিকে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের বলেছেন, পুলিসের থেকে বেশি লোক ছিল। সেই ইস্যুতে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। পুলিসের কাছে কোনও আগাম খবর ছিল না। আমরা বলছি, পুলিসের কাছে সব ছিল। পুলিস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছাতে পরোক্ষে এই দাঙ্গাতে মদত দিয়েছে'।
তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, 'সংবাদসংস্থা এএনআই একটি খবর প্রকাশ করেছে। তাতে বলছে,.স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে তরফে নাকি বিদেশি ও বহিরাগত গুণ্ডাদের যোগ পাওয়া গিয়েছে। তারা সে বিষয়ে তদন্ত করছে। এই খবরটা যদি সত্যি হয়ে থাকে, বহিরাগত লিংক যদি জড়িত থাকে, এই ইস্যুটা রাজ্য সরকারের আওতায় পড়ে নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় পড়ে? যদি আন্তর্জাতিক বিষয় জড়িত থাকে, তাহলে স্টেট আইবির থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সেন্ট্রাল আইবি-র। NIA শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় সংস্থার। তাদের কাছে খবর ছিল না? তারা কী করে অস্বীকার করতে পারে, তারা তো দেশ চালাচ্ছে'।